Rupee Depreciation: টাকার দামে রেকর্ড পতন, কী ভাবছেন সাধারণ মানুষ?
সার্ভেতে দেখা গিয়েছে ৫২ শতাংশ মানুষ উচ্চ পরিবহন খরচ এবং রান্নার জ্বালানীর খরচ সহ প্রয়োজনীয় পণ্য এবং পরিষেবার ক্রমবর্ধমান খরচ নিয়ে চিন্তিত। তারা মনে করছে এর প্রভাব পড়বে তাদের জীবনে৷ ৫২ শতাংশ মানুষ মনে করছেন টাকার অবমূল্যায়নের কারণে পণ্য ও পরিষেবার দাম বেশি হবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাবে বলে মত তাদের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টাকার (Indian Rupee) ক্রমাগত অবমূল্যায়ন দেশের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই ডলারের বিপরীতে ভারতীয় টাকার অবমূল্যায়ন অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহে, ডলার (USD) প্রতি ভারতীয় টাকার দাম ৮০ পেড়িয়ে যায়। এর আগেও ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনে রেকর্ড জারি ছিল। অর্থনীতিবিদদের মতে, আগামমিদিনে টাকার আরও বেশি অবমূল্যায়ন হতে পারে।
টাকার এই ক্রমাগত অবমূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জনগণের কাছে জানার চেষ্টা করা হয় তারা গত ১৫ বছরে ভারতের অর্থনৈতিক পারফরম্যান্সকে কীভাবে দেখেন। সমীক্ষাটি আরও জানার চেষ্টা করেছে যে ভারতীয়রা টাকার ক্রমাগত অবমূল্যায়ন নিয়ে কতটা চিন্তিত।
এই সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে, প্রতি দুই জনের মধ্যে এক জন ভারতীয় মনে করেন যে ২০০৭ সালে টাকার দাম ছিল প্রতি ডলার ৩৮ টাকা। সেখান থেকে ২০২২ সালে টাকার দাম ডলার প্রতি ৮০ টাকা হয়েছে। এই অবমূল্যায়নের কারণে ভারত অর্থনৈতিকভাবে খারাপ পারফর্ম করছে।
সার্ভেতে দেখা গিয়েছে ৫২ শতাংশ মানুষ উচ্চ পরিবহন খরচ এবং রান্নার জ্বালানীর খরচ সহ প্রয়োজনীয় পণ্য এবং পরিষেবার ক্রমবর্ধমান খরচ নিয়ে চিন্তিত। তারা মনে করছে এর প্রভাব পড়বে তাদের জীবনে৷ ৫২ শতাংশ মানুষ মনে করছেন টাকার অবমূল্যায়নের কারণে পণ্য ও পরিষেবার দাম বেশি হবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাবে বলে মত তাদের।
আরও পড়ুন: Centenary of Barfi: হালুইকর নন, ১০০ বছর আগে বরফি আবিষ্কার করেছিলেন এক কুস্তিগীর!
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪৪ শতাংশ মানুষ বিদেশ ভ্রমণের ক্রমবর্ধমান ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত। অন্যদিকে ২৪ শতাংশ মানুষ তাদের সন্তান সহ অন্যান্যদের বিদেশে পড়ার খরচের উপর এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। অর্থাৎ এই সার্ভেতে এটা দেখা গিয়েছে যে তারা আগামী প্রজন্ম নিয়ে চিন্তিত।
দেশের ৩২৮ টিরও বেশি জেলায় একটি সার্ভে করা হয়েছে। এখানকার নাগরিকদের কাছ থেকে ৩৪,০০০-এরও বেশি প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৫ শতাংশ মহিলা। যাদের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ টায়ার ১ শহর থেকে, ৩৪ শতাংশ টায়ার ২ শহর থেকে, ২৩ শতাংশ টায়ার ৩, ৪ শহর এবং গ্রামীণ জেলা থেকে।
এরপরে প্রশ্ন উঠছে আরবিআই এবং কেন্দ্রিয় সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টার পরেও কেন ডলারের বিপরিতে ক্রমাগত কমছে টাকার দাম। টাকার এই অবমূল্যায়নের অন্যতম বড় কারন হিসেবে দেখা হচ্ছে বিপুল সংখ্যক বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার। সরকারী হিসাবে দেখা গিয়েছে ২০১২ অর্থবর্ষের শুরু থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রায় ৩১.৫ বিলিয়ন ডলার প্রত্যাহার করা হয়। যদিও, আরবিআই বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা বাড়াতে আমদানি এবং রপ্তানিতে ভারতীয় টাকায় সেটেলমেন্টের প্রচারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সর্বাত্মক চেষ্টার পরও টাকার দামে পতন অব্যাহত।