Post Office Scheme: পোস্ট অফিসের জিরো রিস্ক স্কিম! দ্রুত দ্বিগুণ করুন জমা টাকার পরিমাণ

বিনিয়োগের সীমা না থাকায়, অর্থ পাচারের ঝুঁকিও রয়েছে। তাই ৫০,০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগের জন্য সরকার ২০১৪ সালে প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক করেছে৷ ১০ লক্ষ টাকা অথবা তার বেশি বিনিয়োগ করলে আয়ের প্রমাণপত্রও জমা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এই প্রমাণপত্রের মধ্যে রয়েছে আইটিআর, বেতন স্লিপ এবং ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সহ অন্যান্য তথ্য। এছাড়াও, একটি পরিচয়পত্র হিসাবে আধার কার্ডও জমা দিতে হবে।

Updated By: Aug 24, 2022, 06:00 PM IST
Post Office Scheme: পোস্ট অফিসের জিরো রিস্ক স্কিম! দ্রুত দ্বিগুণ করুন জমা টাকার পরিমাণ

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিনিয়োগই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আপনি নিজের এবং আপনার পরিবারের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে পারেন। বর্তমানে ঝুঁকির পরিমাণ অনুযায়ী অনেক ধরনের বিনিয়োগের বিকল্প রয়েছে গ্রাহকদের কাছে। গ্রাহকের যদি উচ্চ ঝুঁকি নেওয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে তিনি মিউচুয়াল ফান্ডের মতো ইক্যুইটিগুলিতে বিনিয়োগ করতে পরেন। কিন্তু কেউ যদি নিরাপদ এবং ঝুঁকিবিহীন বিনিয়োগ খোঁজেন, তাহলে পোস্ট অফিস সেভিং স্কিম (কিসান বিকাশ পত্র) একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ

পোস্ট অফিসের স্কিমগুলি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ। এই স্কিমগুলি তাদের জন্য যারা পুরনো ধরনের বিনিয়োগ পছন্দ করেন এবং যাদের দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। পোস্ট অফিস স্কিমে সরকারি গ্যারান্টি পাওয়া যায়,অর্থাৎ এতে কোনও ঝুঁকি নেই। এছাড়াও এই বিনিয়োগে নিশ্চিত রিটার্নও পাওয়া যায়। 

কী এই কিষান বিকাশ পত্র?

এই স্কিমের সময়কাল ১২৪ মাস অর্থাৎ ১০ বছর ৪ মাস। গ্রাহক যদি এই স্কিমে ১ এপ্রিল ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত বিনিয়োগ করেন, তাহলে গ্রাহকের জমা করা টাকার পরিমাণ ১০ বছর এবং ৪ মাসে দ্বিগুণ হয়ে যায়। কিষাণ বিকাশ পত্রে, গ্রাহক ৬.৯ শতাংশ বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি সুদ পাবেন।

যত ইচ্ছা বিনিয়োগ করা যায়

গ্রাহক ন্যূনতম ১,০০০ টাকার বিনিয়োগের মাধ্যমে কিষাণ বিকাশ পত্রের শংসাপত্র কিনতে পারেন। এই স্কিমে কোনও সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সীমা নেই। অর্থাৎ, গ্রাহক এই স্কিমে যতটা চান তত টাকা রাখতে পারেন। এই প্রকল্পটি ১৯৮৮ সালে শুরু হয়েছিল, তখন এর উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের বিনিয়োগ দ্বিগুণ করা। কিন্তু বর্তমানে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এখন এটা বলা যেতে পারে যে কৃষকদের সঙ্গে বর্তমানে কিষাণ বিকাশ পত্রের কোনও সম্পর্ক নেই। 

দিতে হবে প্যান এবং আধার

বিনিয়োগের সীমা না থাকায়, অর্থ পাচারের ঝুঁকিও রয়েছে। তাই ৫০,০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগের জন্য সরকার ২০১৪ সালে প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক করেছে৷ ১০ লক্ষ টাকা অথবা তার বেশি বিনিয়োগ করলে আয়ের প্রমাণপত্রও জমা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এই প্রমাণপত্রের মধ্যে রয়েছে আইটিআর, বেতন স্লিপ এবং ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সহ অন্যান্য তথ্য। এছাড়াও, একটি পরিচয়পত্র হিসাবে আধার কার্ডও জমা দিতে হবে। 

আরও পড়ুন: Jain Paryushan Parv 2022: আজ থেকে শুরু করুন আত্মশুদ্ধি, আত্ম-অনুশোচনা; মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন সমস্ত অশুভ...

তিন রকমের ক্রয়

১. একক হোল্ডার টাইপ সার্টিফিকেট: এই ধরনের সার্টিফিকেট নিজের জন্য অথবা নাবালকের জন্য কেনা হয়।

২. জয়েন্ট এ অ্যাকাউন্ট সার্টিফিকেট: এটি দুই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যৌথভাবে জারি করা হয়। উভয় ধারক, অথবা যারা জীবিত আছে তাদের জন্য প্রদেয়।

৩. জয়েন্ট বি অ্যাকাউন্ট সার্টিফিকেট: এটি দুই প্রাপ্তবয়স্কদের যৌথভাবে জারি করা হয়। একজনকে অথবা জীবিতকে অর্থ প্রদান করে।

কিষান বিকাশ পত্রের মূল ফিচার

১. এই স্কিমে গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্ন পাওয়া যায়। বাজারের ওঠানামার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। তাই এটি বিনিয়োগের একটি খুব নিরাপদ উপায়। মেয়াদ শেষে গ্রাহক পুরো টাকা পাবেন।

২. এতে, আয়করের ধারা ৮০সি-এর অধীনে কর ছাড় পাওয়া যায় না। এর উপর রিটার্ন সম্পূর্ণ করযোগ্য। মেয়াদপূর্তির পর প্রত্যাহার করা হলে ট্যাক্স লাগে না। 

৩. গ্রাহক মেয়াদপূর্তিতে অর্থ তুলে নিতে পারেন ১২৪ মাস পরে। তবে এর লক-ইন সময়কাল ৩০ মাস। এর আগে গ্রাহক স্কিম থেকে টাকা তুলতে পারবেন না। যদি না অ্যাকাউন্টধারীর মৃত্যু হয় অথবা আদালতের নির্দেশ না থাকে।

৪. এখানে ১০০০, ৫০০০, ১০০০০, ৫০০০০ মূল্যের মধ্যে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।

৫. গ্রাহক কিষাণ বিকাশ পত্রকে জামানত হিসাবে রেখে ঋণও নিতে পারেন। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.