Bhoot Chaturdashi: অতি সামান্য এ'দুটি জিনিস এই চতুর্দশীতে কিনতেই হবে! না কিনলে ঘোর অকল্যাণ...
Bhoot Chaturdashi: নুন আর ঝাঁটা। এই দুটি জিনিস কেনার জন্য দিন ও সময় নির্দিষ্ট। কিন্তু ধনতেরাস যে-বারে পড়বে সেই বারে এই জিনিস দুটি নির্দ্বিধায় কেনা যায়। এবং এই দুটি জিনিস কেনার সময়ও নির্দিষ্ট। সেই সময়ের মধ্যেই কিনতে হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দীপাবলির ঠিক আগের দিনটি ভূত চতুর্দশী। সেই হিসেবে আজ, রবিবার ভূত চতুর্দশী। দীপাবলি উদযাপনেরই একটি অংশ এই দিন। দিনটি অতি পবিত্র ও অর্থপ্রাপ্তির দিন। এদিন কিছু না কিছু কেনার কথা ভাবেন বাঙালি। অনেক কিছুই কেনাকাটা হয়। তবে এই দিন অতি বিশেষ করে দুটি জিনিস কেনার কথা বলা হয়েছে। একটি হল লবণ বা নুন, অন্যটি ঝাঁটা। লবণকে শুক্র, চন্দ্রের প্রতীক বলা হয়। এই দুটি মা লক্ষ্মীরও প্রতীক মনে করা হয়। ঝাঁটাকেও ঘরের লক্ষ্মী মনে করা হয়।
নুন গৃহস্থালিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ। এমনিতেও নুন বেশি হলে বা কম হলে সংশ্লিষ্ট জিনিসটি নষ্ট হয়ে যায়। তাই নুন অতি জরুরি। নুন যেন মাটিতে না পড়ে। আজ, সকাল ১০টা ১৫ মিনিট থেকে সময় শুরু হয়ে গিয়েছে, ১২টা ১৫ মিনিট কেনা যাবে।
আরও পড়ুন: Bhoot Chaturdashi: ভূত চতুর্দশীতে আসলে কাদের ভূত মর্ত্যে আসে, জানেন? জেনে চমকে উঠবেন...
দীপাবলির পাঁচ দিন অতি পবিত্র দিন। এই পাঁচ দিন ঘরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে এক গ্লাস জলে নুন গুলে রাখুন। পরে এটা তুলে বাথরুমে ফেলে দিন। এই সময়ে প্রচুর তন্ত্রক্রিয়া হয়। তার শক্তি বা যে কোনও অশুভ শক্তি দূর করে এই নুন-জল। এটি সমস্ত অশুভ এনার্জি শুষে নেয়। তাই এই সময়ে প্রচুর নুন কিনুন। নুন চিনা মাটির পাত্রে রাখুন। লোহা বা স্টিলপাত্রে নয়। আজ চিনে মাটির পাত্রে নুন রেখে তাতে ১১টি লবঙ্গ দিয়ে ঠাকুরের কাছে রাখুন। বিশেষ ফল ফলবে।
দিনটিতে মনে করা হয় আমাদের চারদিকে প্রচুর ভূত-প্রেত ঘুরে বেড়ায়। আর সে কারণেই নাকি এদিন সন্ধেবেলা ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালতে হয়। তবে ঘটনাটি ঠিক এরকম নয়। হিন্দুধর্মে বিশ্বাস করা হয়, মৃত পূর্ব পুরুষরা এই আশ্বিন কৃষ্ণা চতুর্দশীর দিনে মর্ত্যে আসেন। তাঁদের আনন্দ দিতে এবং এই সব অতৃপ্ত আত্মার অভিশাপ দূর করতে এদিন তাঁদের জীবিত উত্তরপুরুষেরা সেই সব প্রেত-আত্মাদের পুজো করেন। জলদান করেন। তবে, এই শাস্ত্রবিহিত ঘটনা ছাড়াও রয়েছে এক পুরাণের ঘটনাও। সেটি দৈত্যরাজ বলির কাহিনী। দৈত্যরাজ বলি স্বর্গ, মর্ত্য, পাতাল দখল করেছেন। বলির অসুররা সবার উপর অত্যাচার শুরু করে। তখন বলিকে থামানোর জন্য ভগবান বিষ্ণু বামন অবতারে বলির কাছে এলেন। বলি তখন যজ্ঞ করছিলেন। ফলে, তিনি ওই বামনকে দান নিতে অনুরোধ করলেন। বিষ্ণুর বামন অবতার মাত্র তিন পা জমি চাইলেন। দৈত্যরাজ রাজি হলেন। এবং বামন অবতার সমস্ত সৃষ্টি বলির হাত থেকে নিয়ে নিলেন। আর একটি মত বলছে, চামুণ্ডা রূপে মা কালী এই ভূত চতুর্দশীর দিনে চৌদ্দজন ভূতকে সঙ্গে নিয়ে ভক্তের বাড়ি থেকে অশুভ শক্তিকে দূর করতে পৃথিবীতে আসেন। কিন্তু কালীর সঙ্গী-ভূত ভালো করবে না মন্দ করবে, তা মানুষ বুঝতে পারে না। তাই দিনটি নিয়ে একটা দ্বিধায় থাকে।
অতএব, আজ অবশ্যই নুন ও ঝাঁটা কিনুন এবং নিজের সৌভাগ্য নিজেই স্থির করে নিন। রাহুকে প্রবেশ করতে দেবেন না, অশুভকে রুখে দিন। এই ধনতেরাস থেকে আগামী ধনতেরাস পর্যন্ত সংসারে সুখ ধরে রাখুন।
(প্রচলিত লোকবিশ্বাস অনুসারে লিখিত, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো এখানে কোনও নির্দেশ দিচ্ছে না)