১০৩ বছরের ড্রাইভারের দুর্ঘটনা হয়নি একবারও

৪০ পেরোলেই চালশে প্রবাদকে ফুত্‍কারে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। পাঁচ কুড়ি পার করে, ১০৩ বছরের  জিওভান্নি রোজ্জো এখনও লন্ডনের পথে নামেন স্টিয়ারিং হাতে।  আশি বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছেন তিনি।  তবে  আজ পর্যন্ত তাঁর গাড়িতে হয়নি কোনও অ্যক্সিডেন্ট। এ হেন সেঞ্চুরি করা ডানপিটে দাদু  বয়সের দোহাই শুনলেই বলেন, বুঢ্‍ঢা হোগা তেরা...

Updated By: Jan 18, 2016, 10:34 PM IST
১০৩ বছরের ড্রাইভারের দুর্ঘটনা হয়নি একবারও

ওয়েব ডেস্ক: ৪০ পেরোলেই চালশে প্রবাদকে ফুত্‍কারে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। পাঁচ কুড়ি পার করে, ১০৩ বছরের  জিওভান্নি রোজ্জো এখনও লন্ডনের পথে নামেন স্টিয়ারিং হাতে।  আশি বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছেন তিনি।  তবে  আজ পর্যন্ত তাঁর গাড়িতে হয়নি কোনও অ্যক্সিডেন্ট। এ হেন সেঞ্চুরি করা ডানপিটে দাদু  বয়সের দোহাই শুনলেই বলেন, বুঢ্‍ঢা হোগা তেরা...

জিওভান্নি রোজ্জি। জন্মসূত্রে ইতালিয়ান। কুড়ি বছর বয়সে ইতালির সেনাবাহিনীতে কেরানির চাকরি পান। ড্রাইভিং জানা ছিল। সেই সুবাদে চালাতে শুরু করেন  সাঁজোয়া গাড়ি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৫৩ সালে ভাগ্য অন্বেষণে  পাড়ি দেন ইংল্যান্ডে।  পেট চালাতে বিক্রি শুরু করেন কখনও আইসক্রিম, কখনও বা  দুধ।  কিন্তু গাড়ি চালানোর নেশা ছাড়তে পারেননি। তাই সুযোগ পেলেই  গাড়ি নিয়ে পথে নামো সাথি।  আজ ১০৩ বছর বয়সে এসেও ছাড়েনি গাড়ি চালানোর নেশা।   

এতগুলো বছর পেরিয়েও  কোনও দুর্ঘটনায় জড়িয়ে পড়েনি জিওভান্নির গাড়ি। কড়া ব্রিটিশ ট্র্যাফিক নিয়ম  ৮২ বছরে ভেঙেছেন মাত্র দুবার। অতিরিক্ত গতির জন্য জরিমানা করা হয় তাঁকে। ১৯৬২ পান রয়্যাল সোসাইটির বিশেষ পুরস্কার ফ্রী ফ্রম অ্যক্সিডেন্ট।  আজও তাঁর প্রিয় মিত্‍সুবিসি ল্যান্সার গাড়ি চালিয়ে রোজ সকালে যান স্ত্রীর কবরে ফুল দিতে।  গাড়ি নিয়েই চলে যান দোকানে। নিয়মিত লাইসেন্সও রিনিউ করেন।  এত বয়সে গাড়ি চালানোর ঝুঁকি নেওয়ার দরকার কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে জিওভান্নির বক্তব্য, দৃষ্টিশক্তি  ভালো, শারীরিকভাবে সক্ষম এবং ড্রাইভিং  ভালোবাসেন। তাই যতদিন পারবেন ততদিনই গাড়ি  চালাবেন।

.