Mosquito Bites: গন্ধ শুঁকে মশা কাউকে বেশি কামড়ায়, কাউকে কম, অবাক করা কারণ!
কার্বন-ডাই-অক্সাইড-ই রক্তের উৎস সন্ধানের ক্ষেত্রে মশার প্রধান অস্ত্র। মশা কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সংবেদনশীল। মশার পায়ের রিসেপ্টর কোষ কার্বন-ডাই-অক্সাইডের অণুকে আবদ্ধ করতে সক্ষম।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সম্প্রতি ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে শহর কলকাতায়। পুজো পর্যন্ত চলবে ডেঙ্গির এই বাড়বাড়ন্ত। এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কলকাতায় একের পর এক ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর এবং তার মধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবরে উদ্বেগ বেড়েছে। গত শনিবার মহানগরীতে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বৈঠকে বসেছিল স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য সচিব নারায়নস্বরুপ নিগম ডেঙ্গির চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমস্ত সরকারি প্রোটোকল মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে করা যাবে না কোন র্যাপিড টেস্টও। রয়েছে এমন নির্দেশও। কিন্তু সাধারণ জনগণের একটা বড় অংশ মনে করে কিছু মানুষকে মশা কম কামড়ায় আবার কিছুজনকে বেশি। না, একদমই ভুল নয় এই ধারণা। এই ঘটনার পিছনেও রয়েছে যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক কারণ।
এক্ষেত্রে জানা প্রয়োজন, শুধু স্ত্রী মশা মানুষের রক্ত খায়, পুরুষ মশার সে ক্ষমতা নেই। পুরুষ মশা তার জীবনীশক্তি অর্জন করে উদ্ভিদের রস থেকে। স্ত্রী মশা রক্ত পান করে কারণ রক্ত তার প্রজনন চক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঠিক এই কারণেই স্ত্রী মশা রক্তের দ্রুত উৎস সন্ধানে সক্ষম। স্ত্রী মশা রক্তের উৎস সন্ধানে তার ঘ্রাণশক্তির উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। রাতে যে সমস্ত প্রজাতির প্রাণীরা সক্রিয় থাকে তারা সম্পূর্ণভাবে তাদের রিসেপটরের উপর নির্ভরশীল। এখন মানুষ সাধারণভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে কার্বন- ডাই-অক্সাইড নির্গমন করে। আর এই কার্বন-ডাই-অক্সাইড-ই রক্তের উৎস সন্ধানের ক্ষেত্রে মশার প্রধান অস্ত্র। মশা কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সংবেদনশীল। মশার পায়ের রিসেপ্টর কোষ কার্বন-ডাই-অক্সাইডের অণুকে আবদ্ধ করতে সক্ষম। মশার পায়ের রিসেপ্টর কোষ কার্বনের অণুকে আবদ্ধ করে তার মস্তিষ্কে সঙ্কেত পাঠায়। ফলে মশা সহজেই তার শিকারের কাছে পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুন, পুজোর আগেই উদ্বেগ বাড়িয়ে বাংলায় সংক্রমণ বাড়ছে ডেঙ্গির বিপজ্জনক ভ্যারিয়্যান্টের
কিন্তু মানুষ ছাড়াও অন্য অনেক বস্তুও কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন করে। এক্ষেত্রে জীবিত প্রাণীদের মশা আলাদা করে তাদের দেহ থেকে নির্গমন হওয়া গৌণ ঘ্রাণসংকেতের উপর নির্ভর করে। আবার ভোর এবং সন্ধ্যার দিকে মশা তাদের রক্তের উৎস শনাক্ত করতে তাদের দৃষ্টিশক্তির উপর নির্ভরশীল। দেখা গেছে, হালকা রঙের পোশাক পরা ব্যক্তিকে মশা বেশি আক্রমণ করছে। কারণ হালকা রঙকে সহজে আলাদা করা যায়। আবার এও দেখা গেছে বেশকিছু প্রজাতির মশা মানবশরীরের বিশেষ অংশেই কামড়ায়। যেমন এডিস মশা মানুষকে কামড়ায় সাধারণত গোড়ালির তলার অংশে।