করোনার দিনগুলিতে প্রেম; কমেছে বিচ্ছেদ, বেড়েছে মিউচুয়াল ফিলিংস
বিবাহিতদের কাছে লকডাউন আশীর্বাদ
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিবাহ বিষয়টিকেই তো আজকাল উড়িয়ে দেন নব্যপ্রজন্ম। বিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান। এবং প্রতিষ্ঠানবিরোধিতাই এ কালের জীবনধর্ম, প্রকারান্তরে সংসারধর্মও।
বিদেশে এ সব নিয়ে মানুষ বেশি সোচ্চার। অথচ সেই বিলেতেই দেখা গেল উল্টো ছবি। সেখানে লকডাউন দেখিয়ে দিল, বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটি মরেনি। শুধু মরেনিই নয়, তা একেবারে রমরম করে চলছে।
লকডাউনে ঘরবন্দি থাকাটা একটা অভিশাপ বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, দেশে বোধ হয় এ বার বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়বে। কেননা, ২৪ ঘণ্টা এক মুখ দেখতে-দেখতে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ক্লান্ত হবেন, খিটিমিটি বাড়বে, টেনশন তৈরি হবে, তিক্ততা জেগে উঠবে।
বাস্তবের রেজাল্ট কিন্তু অন্য কথা বলল। জানা গেল, দম্পতিরা বেশ খুশিই হয়েছেন এই লকডাউনে। বেশিরভাগ দম্পতিই জানিয়েছেন, লকডাউন-পর্বে তাঁদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। মনোমালিন্যও যে হয়নি, তা নয়, তবে সেটা কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। সমীক্ষা মোতাবেকে, বিবাহিতদের দাম্পত্য যে শুধু দৃঢ় হয়েছে তা নয়, জুনের পর বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যাও যথেষ্ট কমেছে। লকডাউনের আগে যাঁরা বিবাহবিচ্ছেদ করবেন বলে ভেবেছিলেন, তাঁরাও যে সিদ্ধান্ত পালটেছেন, সেটাও বেশ বোঝা যাচ্ছে। করোনাকালে অ-ভূতপূর্ব বিরুদ্ধ পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে গিয়েই দাম্পত্যের ফাটলগুলি জুড়ে গিয়েছে বলে ধারণা। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ঘরের কাজ করেছেন, রান্না করেছেন, ছেলেমেয়েদের অনলাইন পড়াশোনার দায়িত্বও ভাগ করে নিয়েছেন।
অন্তত দাম্পত্যের দিক থেকে করোনা-পর্ব বেশ ভালো সময়! তাই তো? কী বলছেন ভারতীয় কাউন্টার-পার্টেরা?
আরও পড়ুন: হালকা ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব, এই সময় রোদে বেরোনোর আগে প্রয়োজন সানস্ক্রিন, বলছেন বিশেষজ্ঞরা