8th Pay Commission Update: সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর, কার্যকর হবে অষ্টম বেতন কমিশন!
কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের সংগঠনগুলি বলছে যে বর্তমানে ন্যূনতম মজুরি সীমা ১৮ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। এতে ইনক্রিমেন্টে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ৬৮ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৫২ লক্ষ পেনশনভোগী সরাসরি এর সুবিধা পাবেন। মূল বেতন ৩ হাজার টাকা বেড়ে ২১ হাজার টাকা হতে পারে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি সারা দেশে প্রযোজ্য এবং কর্মচারীরাও এর সুবিধা পাচ্ছেন। তবে কর্মচারীদের অভিযোগ তাদের জন্য যে সুপারিশ করা হয়েছিল তার তুলনায় কম বেতন পাচ্ছেন তারা। কর্মচারী সংগঠনগুলো বলছে, তারা এই বিষয়ে একটি স্মারকলিপি তৈরি করছেন, যা দ্রুত সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। এই স্মারকলিপিতে করা সুপারিশ অনুযায়ী বেতন বাড়ানো অথবা অষ্টম বেতন কমিশন আনার দাবি জানানো হবে। অন্যদিকে, সরকার লোকসভায় অষ্টম বেতন কমিশন বাস্তবায়নের বিষয়ে কোনও আলোচনা করতে অস্বীকার করেছে।
২৬ হাজার টাকা হতে পারে ন্যুনতম বেতন
জি বিজনেসের মতে, কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের সংগঠনগুলি বলছে যে বর্তমানে ন্যূনতম মজুরি সীমা ১৮ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। এতে ইনক্রিমেন্টে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে, এই ফ্যাক্টরটি ২.৫৭ গুণ, যদিও সপ্তম বেতন কমিশনে এটি ৩.৬৮ গুণ পর্যন্ত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এমনটা হলে কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২৬ হাজার টাকা হবে।
একটি নতুন ব্যবস্থাও চালু করতে পারে সরকার
সূত্রের খবর, এখন সপ্তম বেতন কমিশনের পরে নতুন বেতন কমিশন আসবে না। এর পরিবর্তে সরকার এমন একটি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে, যেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি পাবে। এটি একটি 'স্বয়ংক্রিয় বেতন সংশোধন ব্যবস্থা' হতে পারে, যেখানে ডিএ ৫০ শতাংশের বেশি হলে বেতনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশোধন করা হবে।
এটি হলে, ৬৮ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৫২ লক্ষ পেনশনভোগী সরাসরি এর সুবিধা পাবেন। তবে সরকার এই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। সরকার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: World Cancer Awareness Day: হাতের কাছের এই পাঁচটি ঘরোয়া খাবার সহজেই ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে...
নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীর জন্য বেতন আরও বাড়তে পারে
অর্থ মন্ত্রকের এক কর্মকর্তার মতে, মুদ্রাস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যম স্তরের কর্মচারীদের থেকে শুরু করে নিম্ন স্তরের কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো উচিত। এই অবস্থায় সরকার যদি ২০২৩ সালে নতুন বেতন ফর্মুলা নিয়ে আসে তাহলে মধ্যম স্তরের কর্মচারীরা খুব বেশি সুবিধা না পেলেও নিম্ন আয়ের কর্মচারীরা ভালো সুবিধা পেতে পারেন। তার মূল বেতন ৩ হাজার টাকা বেড়ে ২১ হাজার টাকা হতে পারে।
ইউনিয়ন সরকারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করবে
কেন্দ্রীয় কর্মচারী ইউনিয়নের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বেতন বাড়ানোর দাবি নিয়ে শীঘ্রই একটি নোট তৈরি করে সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে চলেছে ইউনিয়ন। সরকার দাবি না মানলে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে তাঁরা। এই আন্দোলনে কর্মচারীদের পাশাপাশি পেনশন পাওয়া কর্মচারীরাও অংশ নেবেন।