শীতের শহরের মন মজেছে ট্যাটুতে...

কলেজ ক্যাম্পাস থেকে আইটি সেক্টর। কখনও কলারের ফাঁক দিয়ে, আবার কখনও বা সাহসী মহিলার বুকের ওপর থেকে উঁকি মারা ট্যাটুতে আপনার চোখ আটকাতে বাধ্য।

Updated By: Jan 18, 2015, 03:42 PM IST
শীতের শহরের মন মজেছে ট্যাটুতে...

ব্যুরো: কলেজ ক্যাম্পাস থেকে আইটি সেক্টর। কখনও কলারের ফাঁক দিয়ে, আবার কখনও বা সাহসী মহিলার বুকের ওপর থেকে উঁকি মারা ট্যাটুতে আপনার চোখ আটকাতে বাধ্য।

একটা সময়ে উপজাতিদের মধ্যেকার প্রচলিত এই বডি আর্ট এখন রীতিমতো প্রেস্টিজিয়াস স্টাইল স্টেটমেন্ট। একসময়ে উপজাতি মহিলা বা পুরুষ মানেই চোখের সামনে ভেসে উঠতো তাদের গায়ের উল্কির কারিকুরি। যুগ বদলের সঙ্গে সঙ্গে সেই জনজাতিদের উল্কিই ক্রমে নাম পায় ট্যাটুর।  

ট্যাটুর জনপ্রিয়তা পাশ্চাত্য সভ্যতায় অনেক আগেই জায়গা করে নিলেও এতদিন পর্যন্ত ভারতীয় সভ্যতায় তা ছিল শুধুই বেখাপ্পা চালছিত্র। তবে দিন যতই গড়িয়েছে ততই বদলেছে ভারতীয় ফ্যাশনের সংজ্ঞা। আর সেই সংজ্ঞা বদলের ফলেই প্রথমে ট্যাটুকে আপন করে নেয় আমচি মুম্বই। ততদিনে অবশ্য অনেকটাই বদলেছে বাঙালির ফ্যাশন বোধও। তাঁতের শাড়ির বাইরে গিয়ে এখন কলকাতাও ট্যাটু ফেশনে যথেষ্ট সাবলীল।

ট্যাটুর ক্ষেত্রেও পুরুষদের সঙ্গে সমানভাবে পাল্লা দিচ্ছেন মহিলারা। শিল্পীদের দাবি, ট্যাটুকারীদের মধ্যে ষাট শতাংশই মহিলা। এমনকি ফ্যাশনের জন্য অনায়াসেই সহ্য করছেন ট্যাটু করার যন্ত্রণাও।

আঠেরো থেকে পঁয়ত্রিশ বছর বয়সীদের মধ্যে ট্যাটুর চাহিদা সব থেকে বেশি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গেছে যে জন্মদিনের উপহার দিতে বাবা মায়েরা পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের হাতধরে উপস্থিত হচ্ছেন ট্যাটু পার্লারে।

ফ্যাশনে তো ইন। তবে আদৌ কতটা সেফ এর প্রক্রিয়া?

তবে শুধুমাত্র সাধ থাকলেই হবে না। থাকতে হবে সাধ্যও।

সইফ খানের ঢঙে পয়সা খরচ করে একবার বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের নাম লেখালেন বটে কিন্তু দেখলেন টিকলো না সেই প্রেম। নো প্রবলেম রয়েছে পুরনো প্রেমের নিশান মেটানোর উপায়ও।

 

.