জানুন কেন আমরা পুজো দেওয়ার সময় দেবতার কাছে অবশ্যই নারকেল উত্সর্গ করি
বিভিন্ন উত্সব বা পূজার সময় প্রচুর মানুষ বিভিন্ন প্রকার ফল ফুল ধূপ ধূনো উপাচার্য দিয়ে দেবতার কাছে পুজো দিতে যান। দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে, তাঁর কাছে মনষ্কামণা পূরণের প্রার্থনা করতে নানারকম উপাচারে তাঁর কাছে পুজো দেন। শুধু মন্দিরেই নয়, বাড়িতে পুজো দেওয়ার সময় পুজোর উপাচারের মধ্যে একটা জিনিসের মিল লক্ষ্য করা যায়। পূণ্যার্থী যে জায়গারই হোন না কেন, তাঁর পূজার থালায় অবশ্যই নারকেল দেখা যায়। জানেন কেন দেবতাকে অবশ্যই সবসময় নারকেল উত্সর্গ করা হয়? নারকেলকে শ্রীফল বলা হয়। মানে, যে ফল সারাবছর খুব সহজেই পাওয়া যায়। তবে, শুধুমাত্র সেই কারণেই নয়। দেবতাকে সবসময় নারকেল উত্সর্গ করার পিছনে আরও কয়েকটি চমকে যাওয়ার মতো কারণ রয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: বিভিন্ন উত্সব বা পূজার সময় প্রচুর মানুষ বিভিন্ন প্রকার ফল ফুল ধূপ ধূনো উপাচার্য দিয়ে দেবতার কাছে পুজো দিতে যান। দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে, তাঁর কাছে মনষ্কামণা পূরণের প্রার্থনা করতে নানারকম উপাচারে তাঁর কাছে পুজো দেন। শুধু মন্দিরেই নয়, বাড়িতে পুজো দেওয়ার সময় পুজোর উপাচারের মধ্যে একটা জিনিসের মিল লক্ষ্য করা যায়। পূণ্যার্থী যে জায়গারই হোন না কেন, তাঁর পূজার থালায় অবশ্যই নারকেল দেখা যায়। জানেন কেন দেবতাকে অবশ্যই সবসময় নারকেল উত্সর্গ করা হয়? নারকেলকে শ্রীফল বলা হয়। মানে, যে ফল সারাবছর খুব সহজেই পাওয়া যায়। তবে, শুধুমাত্র সেই কারণেই নয়। দেবতাকে সবসময় নারকেল উত্সর্গ করার পিছনে আরও কয়েকটি চমকে যাওয়ার মতো কারণ রয়েছে।
আরও পড়ুন জানেন কেন ভগবান জগন্নাথের বিগ্রহে হাত থাকে না?
১) নারকেলই একমাত্র ফল, যে ফলটি ভাঙার আগে পর্যন্ত খাওয়ার অংশে আমাদের হাত লাগে না। অর্থাত্, নারকেলই একমাত্র ফল, যা আমাদের হাতের স্পর্শ ছাড়াই দেবতা পান। তাই নারকেলকে সবচেয়ে বিশুদ্ধ ফল বলা হয়।
২) নারকেলের উপরের শক্ত অংশটিকে আমাদের অহংকার হিসেবে ধরা হয়। আর নারকেলের জল এবং শাঁসটিকে আমাদের চরিত্রের মিষ্টত্ব এবং নম্রতার সঙ্গে তুলনা করা হয়। তাই নারকেলের শক্ত অংশটি ভেঙে তবেই জল এবং শাঁস উপভোগ করার অর্থ হয়, আমাদের অহংকারকে ত্যাগ করা। এবং অহংকার ত্যাগ করলে তবেই আমাদের চরিত্রের মিষ্টত্ব এবং নম্রতা প্রকাশ পায়। অহংকার ত্যাগ করলে তবেই আমরা সঠিক অর্থে দেবতার কাছে নিজেদের উত্সর্গ করতে পারব।