লগ্ন বিচারে আপনার জীবনসঙ্গী কেমন মানুষ? জেনে নিন
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে লগ্নের উপর ভিত্তি করে দেখে নেওয়া যাক আপনার জীবনসঙ্গী কেমন হতে পারে...
আপনার জীবনসঙ্গী আর আপনি কি একেবারে ‘মেড ফর ইচ আদার’? যাদের বিয়ে হয়েছে বা যাদের বিয়ে হয়নি, দেখে নেওয়া যাক, জন্মকুণ্ডলীতে অনুযায়ী আমাদের জীবনসঙ্গী কেমন হতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে লগ্নের উপর ভিত্তি করে দেখে নেওয়া যাক আপনার জীবনসঙ্গী কেমন হতে পারে—
১) মেষ লগ্ন: এই লগ্নের জাতক বা জাতিকার জীবনসঙ্গী বেশ শৌখিন ও সুন্দর হয়। বিবাহিত জীবনে সর্বদা প্রেম-ভালবাসা অটুট রাখে।
২) বৃষ লগ্ন: এই লগ্নের জাতক জাতিকাদের জীবনসঙ্গী কর্মজীবনে সফল হয়। তারা যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলতে পারে। তবে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মত বিরোধ হয়েই থাকে।
৩) মিথুন লগ্ন: মিথুন লগ্নের জীবনসঙ্গী সামান্যতেই সন্তুষ্ট, উচ্চশিক্ষিত এবং হাসি-খুশি প্রকৃতির হয়ে থাকে। ভাল রান্না করতে জানে।
৪) কর্কট লগ্ন: এদের জীবনসঙ্গীরা কঠোর পরিশ্রমী এবং অল্প কর্কশভাষী হয়ে থাকেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বিবাদ বা মনোমালিন্য লেগেই থাকে।
৫) সিংহ লগ্ন: এদের জীবনসঙ্গী সৎ, পরিশ্রমী এবং শৌখিন হয়ে থাকে। এদের জীবনসঙ্গীরা দেখতেও বেশ সুন্দর হয়।
৬) কন্যা লগ্ন: কন্যা লগ্নের জীবনসঙ্গী সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, শৌখিন ও সুন্দর হয়। বাড়ি ঘর সাজাতে ও রান্না করতে ভালবাসে।
৭) তুলা লগ্ন: বিবাহের পর এই লগ্নের জাতক-জাতিকাদের আর্থিক উন্নতি হয়। তবে এই লগ্নের জীবনসঙ্গীরা বেশির ভাগ সময় বিবাদ-বিরোধে লিপ্ত থাকে।
৮) বৃশ্চিক লগ্ন: এদের জীবনসঙ্গীরা বেশ সুন্দর, শৌখিন, উচ্চাকাঙ্খী হয়। এরা বাড়ি, গাড়ি ও বিলাসিতা পছন্দ করে। তবে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বিবাদ বা মনোমালিন্য লেগেই থাকে।
৯) ধনু লগ্ন: এদের জীবনে একাধিক প্রেম আসে। শ্বশুরবাড়ি সংক্রান্ত সমস্যা থাকে। এই লগ্নের জাতক-জাতিকার জীবনসঙ্গীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা খুবই দুর্বল।
১০) মকর লগ্ন: এদের জীবনসঙ্গী সুন্দর ও ফর্সা ও খুব নরম মনের হয়ে থাকে। দান-ধ্যান করতে ভালবাসে। সামান্যতেই সন্তুষ্ট থাকে।
১১) কুম্ভ লগ্ন: এদের জীবনসঙ্গীরা খুবই প্রভাবশালী হতে পারে। বেশ সুন্দর, শৌখিন, উচ্চাকাঙ্খী হয়। এদের চোখের ও হার্টের সমস্যা হতে পারে।
১২) মীন লগ্ন: এদের জীবনসঙ্গীদের দেখে বয়সের তুলনায় কম বয়সের বলে মনে হয়। এরা ভোজনরসিক ও খুব বুদ্ধিসম্পন্ন হয়।
তবে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এটি সাধারণ লগ্নের ভিত্তিতে একটি সাময়িক অনুমান মাত্র। নির্দিষ্ট কুণ্ডলী বিচার করলে অনেক বেশি তথ্য পাওয়া যায়।