ইনোভেটিভ ইরানি

শাড়ির সঙ্গেই তাই জেনারেশন ওয়াইয়ের মনপসন্দ ট্রেন্ডি ওয়েস্টার্নের মেলবন্ধনে এনেছেন ডিজাইনার ইরানি মিত্র।

Updated By: Oct 8, 2012, 07:07 PM IST

পুজো আসতে বাকি আর হাতেগোনা মাত্র কটাদিন। শুরু হয়ে গেছে হালফ্যাশনের সুলুক সন্ধান। বাঙালির সেরা উত্সবের আঙিনায় দাঁড়িয়ে নিখাদ বাঙালিয়ানাটা বজায় রাখতেই হবে। তাই চাই শাড়ি। শাড়ির সঙ্গেই তাই জেনারেশন ওয়াইয়ের মনপসন্দ ট্রেন্ডি ওয়েস্টার্নের মেলবন্ধনে এনেছেন ডিজাইনার ইরানি মিত্র। ইভিনিং গাউনের আদলে শাড়িই এবার পুজোর পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে বিরাজমান।
ঠিক কোন ভাবনা থেকে এই ইভনিং গাউন শাড়ি?
আমি মনে করি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভারতীয় মেয়েদের এখনও প্রথম পছন্দ শাড়ি। কিন্তু আবার পরার ঝক্কি, সামলানো মুশকিল এইসব মাথায় রেখে অল্পবয়সীরা যেন শাড়ি থেকে একটু দূরেও থাকছিল। আমারও একভাবে শাড়ি দেখতে দেখতে একটু একঘেয়ে লাগছিল। ব্লাউজে প্রচুর ডিজাইন এসেছে বাজারে। সেটা শুধুই ফ্যাশন। আমি ভাবলাম শাড়ির মধ্যে কীভাবে নতুন কিছু করা যায়। যেটা ফ্যাশনেবলও হবে আবার পরতেও সুবিধা হবে। সেখান থেকেই এই গাউন শাড়ির ভাবনা। এই শাড়ির আঁচলটাও কাঁধের কাছে প্লিট করা থাকছে। আমি শাড়ির মেটিরিায়াল নিয়েও একটু বোর হয়ে পড়েছিলাম। সুতি মানে পুরো শাড়িটাই সুতি। সিল্ক মানে পুরোটাই সিল্ক। এরকম না রেখে আমি সুতির সঙ্গেই একই শাড়িতে সিল্ক, তসর, জর্জেট, শিফন মিশিয়ে একটা নতুন মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করেছি। আর আমার শাড়ির সঙ্গে কিন্তু ব্লাউজটা কমপ্লিমেন্টারি।
এইসব শাড়ি কি শুধু উত্সবের কথা মাথায় রেখেই নাকি রোজকার জীবনেও এগুলো পরা যায়?

অবশ্যই আমি বলবো না গাউন শাড়ি পরে অফিস যেতে। কিন্তু আমার কাছে প্রচুর সুতির শাড়ি রয়েছে যেগুলোর আঁচলের কাছটা প্লিট করা। সেগুলো অনায়াসে প্রতিদিনের কাজের জন্য পরা যেতে পারে।

এবারের পুজোয় কী ধরণের ফ্যাব্রিকসের ওপর তুমি জোর দিচ্ছ?
ফ্যাব্রিকস বাছতে গেলে যেহেতু আবহাওয়ার ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হয় তাই সব শাড়িতে সুতিটাকেই আমি প্রধান মেটিরিয়াল রাখছি। তার সঙ্গে শাইন যোগ করতে শিফন, সিল্ক, জর্জেট মিশিয়ে দিচ্ছি।
কোন কোন কালার শেডস এবারের পুজোয় রাখছ তুমি?
সকালের জন্য একটু হালকা শেড যেমন ব্লিচ করে একটু ফেড করা ব্লু, গ্রিন, অরেঞ্জ খুব ভাল চলবে। পাশাপাশি ইয়েলো বা ব্ল্যাক খুব চলছে এবার। রাতে এগুলোরই একটু ডার্ক শেড ব্যবহার করলে ভাল লাগবে।

তুমি তো অ্যাক্সেসরিজও ডিজাইন করো। কীরকম অ্যাক্সেসরিজ এবার ভাল চলছে?
আমি ড্রেসের সঙ্গে ম্যাচ করে অ্যাক্সেসরিজ বানাই। ফেদার থেকে মেহগনি কাঠের টুকরো সবরকম দিয়েই গয়না বানিয়ে দিই আমি। ব্যাগের ক্ষেত্রে আমি বলব এখন কাঁধে বড় ব্যাগই ভাল লাগছে। এটা স্টাইলিশ যেমন লাগবে সেরকমই প্রয়োজনও মেটাবে। আর হ্যাঁ, আমার কাছে কিন্তু বাচ্চাদের পোষাকও পাবেন। এক বছরের বাচ্চার পোষাক, জুতোও পাবেন আমার কাছে।
তোমার পোষাক কোথায় পাওয়া যাবে এবং রেঞ্জ কীরকম?

টালিগঞ্জে আমার ওয়ার্কশপ। নবীনা সিনেমা হলের উল্টোদিকে। দাম শুরু ২২০০ টাকা থেকে।
পুজোয় তোমার কী প্ল্যান?

আমার বাড়িতে পুজো হয়। সেখানে পুরো পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই চাই। আমার পুজোয় ঘুরতেও খুব ভাল লাগে। আমার বাচ্চাদের সঙ্গে ঘুরতে ওর ফুচকা খেতেও খুব ভাল লাগে।

.