ছাতা নিয়ে এই ৭ টি তথ্য না জানলে আর ছাতা জানলেন কী!

Updated By: Jul 29, 2016, 04:07 PM IST
ছাতা নিয়ে এই ৭ টি তথ্য না জানলে আর ছাতা জানলেন কী!

স্বরূপ দত্ত

শ্রাবণ মাস। মানে, ভরা বর্ষাকাল চলছে। আগামী আরও অন্তত দিন ৫০ জমিয়ে এই রাজ্যে চলবে বর্ষা। এই রোদ। কিন্তু পরক্ষণেই বৃষ্টি ঝমঝমিয়ে। আপনি বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় দেখলেন যে, কাঠফাটা রোদ। তাই ছাতাটা নিতে গিয়েও নিলেন না। কিন্তু দু-পাঁচ মিনিট হাঁটতেই দেখলেন বলা নেই, কওয়া নেই, বৃষ্টি নামলো অঝোরে! ব্যস, আর কী! আপনি কোনও দাঁড়ানোর জায়গা না পেয়ে মিনিট ১৫-তেই একেবারে কাকভেজা।

এই বর্ষাকালে এখন কত মানুষ তো রেনকোট বা বর্ষাতি পরেন। কিন্তু বর্ষাকালের আসল 'প্রোটেকশন' বা 'অ্যান্টিবায়োটিক' তো ছাতা! তাই না? আজ তাই ছাতা নিয়ে কটা 'ইন্টারেস্টিং' তথ্য দিতে বসলাম আপনাদের। যাঁরা কোনওদিন না কোনওদিন একবার হলেও ছাতা ব্যবহার করেছেন, তথ্যগুলো জেনে নিন। বেশ মজাই লাগবে।

১) বর্ষা মানেই ছাতা। এই কথা দিয়েই তো শুরু করলাম। সবাই এমনটাই ভাবেন। অথচ, ছাতার আবিষ্কার কিন্তু একেবারেই বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য তৈরি হয়নি। বরং, ছাতার আবিষ্কার হয়েছে রৌদ্র থেকে বাঁচার জন্য! আমব্রেলা শব্দটি এসেছে ল্যাটিন 'আমব্রা' শব্দ থেকে। এই 'আমব্রা' শব্দের অর্থ হল, ছায়া। সূর্য থেকে রক্ষা পেতে কৃত্রিম ছায়ার জন্যই আবিষ্কার ছাতা কিংবা আমব্রেলার!

২) ছাতা কোথায় বা কোন দেশে আবিষ্কার হয়েছে জানেন তো? আসলে ছাতার আবিষ্কার চিনে। এবং সেটাও প্রায় তিন হাজার বছর আগে! জাপানিরা আবিষ্কার করার পর, ছাতার ব্যবহার শুরু করেন, কোরিয়ানরা। তারপর এশিয়ার আরও কিছু দেশ। এরপরই ছাতা পাড়ি দেয় ইউরোপে। রোমানদের কাছে তো ছাতা খুবই পছন্দের এবং প্রিয় হয়ে উঠেছিল। ইউরোপের নবজাগরণের সময়েও ছাতার ব্যবহারের কথা জানা যায়।

৪) চিনে যখন ছাতা আবিষ্কার শুরু হয়, তখন ছাতার ব্যবহার ছিল শুধুমাত্র মেয়েদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। পুরুষ কিন্তু ছাতার ব্যবহার শুরু করেছে, অনেক পরে। আর মেয়েদের ব্যবহারের জিনিস হলেও, সব মেয়েরা শুরুর দিকে ছাতার ব্যবহার করতে পারত না। শুধুমাত্র সমাজের সম্ভ্রান্ত এবং আর্থিকভাবে শক্তিশালী পরিবারের মহিলারাই ছাতার ব্যবহার করতেন। ছাতা ছিল সামাজিক প্রভাব, প্রতিপত্তির প্রতীক।

৫) জানেন কি আজকের দিনেও সবথেকে বেশি ছাতা কোন শহরে তৈরি হয়? অবশ্যই চিনে। সে দেশের সংজিয়া শহরে পৃথিবীর সবথেকে বেশি ছাতা তৈরি হয়। সেইজন্যই সংজিয়াকে 'পৃথিবীর ছাতা'-ও বলা হয়ে থাকে। গোটা চিনে যত পরিমাণ ছাতা তৈরি হয়, তার ৩০ শতাংশেরও বেশি তৈরি হয় সংজিয়াতেই। শুধু এই শহরেই ছাতার হাজারেরও বেশি কারখানা রয়েছে! এই শহরের একজন ছাতা কর্মচারী সারাদিনে কম করে ৩০০ টি ছাতা তৈরি করেন। আরও ভালো করে বললে, তাঁরা প্রতি ঘণ্টায় ৪০ টি ছাতা তৈরি করেন গড়ে!

৬) যেহেতু ছাতা ছিল মেয়েদের ব্যবহারের জিনিস, তাই ছেলেদের এটা ব্যবহার করা হত না। জানেন প্রথম প্রকাশ্যে ছাতা ব্যবহার করেছিলেন কোন পুরুষ? এক ইংরেজ। নাম, জোনাস হানওয়ে। তাঁকে দেখার পর থেকেই ইউরোপে পুরুষরা ছাতা ব্যবহার করা শুরু করেন।

৭) পুরুষরা ছাতা ব্যবহার করার পর থেকে, এটা আর শুধু রোদ্র থেকে বাঁচার জিনিস রইল না। বরং, ছাতাই হয়ে গেল, আত্মরক্ষার অন্যতম অস্ত্র! বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জিওর্জি মারকোভ তো নিজের নিরাপত্তার জন্য ছাতার মধ্যে সরু তরোয়াল লুকিয়ে রাখতেন!

আরও পড়ুন বন্দুকবাজ তোমাকে সেলাম!

.