সম্পর্কে টান, পরিবারের গুরুত্ব বোঝাতে সন্তানকে সময় কাটাতে দিন দাদু, ঠাকুমা, দিদার সঙ্গে

সন্তানের বেড়ে ওঠার পেছনে আপনারই মতো গুরুত্বপূর্ণ আপনার মা-বাবা বা ছোটদের দাদু, ঠাকুমা, দিদার সঙ্গ।

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Feb 18, 2020, 02:50 PM IST
সম্পর্কে টান, পরিবারের গুরুত্ব বোঝাতে সন্তানকে সময় কাটাতে দিন দাদু, ঠাকুমা, দিদার সঙ্গে

নিজস্ব সংবাদদাতা: বাবা-মায়েরা এখন সময় কাটানোর জন্য সন্তানের হাতে তুলে দেন মোবাইল কিংবা খুলে দেন টিভি। কিন্তু একটা সময় ছিল ছোটদের সময় কাটানোর জন্য প্রয়োজন হতো না এইসব কিছুর। কারণ, তাদের কাছে তখন থাকত তাদের গল্পের ঝুলি তাদের দাদু-ঠাকুমা। রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য দাদু-ঠাকুমার চেয়ে আপনজন আর কে-ই বা হতে পারে!

কিন্তু এখন আমরা হয়তো নিজেদের অজান্তেই ছোটদের সরিয়ে দিচ্ছি তাদের প্রিয় শৈশব থেকে। তাদের অনেক আগেই পৌঁছে দিচ্ছি বাস্তবের জটিলতার দিকে। প্রায় সবাই বেড়ে উঠছে ‘নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি’তে। আর কর্মব্যস্ত জীবনেও সন্তানকে সময় দেওয়ার মতো সময় আপনার কাছে নেই। কিন্তু জানেন কি আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠার পেছনে আপনারই মতো গুরুত্বপূর্ণ আপনার মা-বাবা বা ছোটদের দাদু, ঠাকুমা, দিদার সঙ্গ। আসুন জেনে নিন দাদু, ঠাকুমা, দিদার সঙ্গে সময় কাটানোর উপকারি দিকগুলি সম্পর্কে...

জেনে নিন দাদু, ঠাকুমা, দিদার সঙ্গে সময় কাটানোর উপকারিতা:

১) সপ্তাহে অন্তত একবার সন্তানদের দেখা করান ওদের দাদু, ঠাকুমা, দিদার সঙ্গে বা ছুটির দিনটা ওদের পুরোটাই কাটাতে দিন দাদু, ঠাকুমা, দিদার সঙ্গে। অনেক সময় অনেক কথা ওরা আপনাদের না বললেও অনেক সহজে বলে ফেলে দাদু, ঠাকুমা, দিদার কাছে। এর ফলে আপনার সন্তানের অনেক অজানা কথাও হয়তো আপনি জানতে পারবেন যা আপনাকে বলতে পারে না।

আরও পড়ুন: মুখে মেছেতার দাগ, রোদে পোড়া কালচে ভাব নিয়ে চিন্তিত? রইল সমাধান

২) ছোটদের কাছে দাদু, ঠাকুমা, দিদা অনেকটা বন্ধুর মতোই। হয়তো তাঁরা বয়সের ভারে আপনার সন্তানের সঙ্গে তেমন ভাবে খেলতে পারবে না ঠিকই, কিন্তু তাঁদের গল্পের স্টক আপনার শিশুর জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।আর আপনার মা-বাবারও একাকিত্ব কিছুটা লাঘব করবে আপনার সন্তান।

৩) দাদু, ঠাকুমা, দিদার সঙ্গে সময় কাটানো আপনার সন্তানকে অনেক বেশি দায়িত্বশীল করে তুলবে। একসঙ্গে সময় কাটানো বুঝিয়ে দেবে যে, দাদু, ঠাকুমা, দিদাও আপনার সন্তানের পরিবার। নতুন কিছু কিনলে আগে বলুন দাদু, ঠাকুমা, দিদাকে দেখাতে। দেখবেন সম্পর্ক অনেক বেশি গভীর হবে, মধুর হবে।

.