মানুষের লোভের জেরে বিপন্ন হওয়ার পথে গাইয়ে পাখি ইয়েলো ব্রেস্টেড বান্টিং

গাইয়ে পাখি ইয়েলো ব্রেস্টেড বান্টিং-রা হারিয়ে যাচ্ছে। চিনে খাদ্য হিসেবে এই পাখির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। মানুষের জিভের স্বাদ পূর্ণ করতে গিয়ে এখন অবলুপ্তির পথে ছোট্ট এই গাইয়ে পাখিরা।

Updated By: Jun 12, 2015, 11:07 AM IST
মানুষের লোভের জেরে বিপন্ন হওয়ার পথে গাইয়ে পাখি ইয়েলো ব্রেস্টেড বান্টিং

ওয়েব ডেস্ক: গাইয়ে পাখি ইয়েলো ব্রেস্টেড বান্টিং-রা হারিয়ে যাচ্ছে। চিনে খাদ্য হিসেবে এই পাখির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। মানুষের জিভের স্বাদ পূর্ণ করতে গিয়ে এখন অবলুপ্তির পথে ছোট্ট এই গাইয়ে পাখিরা।

আশির দশক পর্যন্ত উত্তর ইউরোপ ও এশিয়ার আকাশে এই পাখিদের প্রায়ই দেখা মিলত। চড়ুইয়ের সাইজের উজ্জ্বল হলুদ বুকের এই পাখিরা গ্রীষ্মকালটা ফিনল্যান্ড, উত্তর রাশিয়া, চিন ও জাপানে। শীতে এরা বাসা বাঁধত ভারত ও দক্ষিণ চিনে। কিন্তু এই রুটিনই আপাতত কাল হয়েছে এই ছোট্ট পাখিদের।  

গত কয়েক বছর যাবত দক্ষিণ চিনে এই গাইয়ে পাখিরা ডেলিকেসির লিস্টে। এই পাখি শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এই খবর ছড়িয়ে পরার পরে জাল পেতে ব্যাপক হারে চলছে শিকার। যার ফলে ভয়াবহ হারে কমছে ইয়েলো ব্রেস্টেড বান্টিংদের সংখ্যা।

১৯৮০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ৯০% হ্রাদ পেয়েছে এই পাখিদের পপুলেশন।

২০১১ সালের নভেম্বরে এক বার হানা দিয়ে চিনা পুলিস ২০ হাজার পাখি উদ্ধার করে।

১৯৯৭ থেকে সেদেশে বান্টিংদের মত গাইয়ে পাখির শিকার আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু, আইন করেও ঠেকানো যাচ্ছে না শিকার। কালো বাজারিদের চক্করে ডিনার প্লেটে এই পাখিদের আনাগোনা দিন দিন বাড়ছে। গোপনে যথেচ্ছহারে বিকোচ্ছে এই পাখি। বান্টিংদের খুদে আয়তন আরও বেশি কমিয়ে দিচ্ছে এদের সুরক্ষা।

১৬ থেকে ১৮ গ্রাম ওজনের একটি পাখির দাম ৩০ ইউরো বা ততোধিক।

 

.