এভাবেও সব প্রতিকূলতাকে হারানো যায়!
এভাবেও সব প্রতিকূলতাকে হারানো যায়!
আচ্ছা, দুটো হাত না থাকলে কী হত কখনও ভেবে দেখেছেন! আমার মত আপনিও কথাটা ভেবে নিষ্টয় আঁতকে উঠেছেন। দুটো হাত ছাড়া মানুষের জীবন মানে তো ডানা ছাড়া আকাশে ওড়া পাখির মত অবস্থা। কিন্তু যার কথা এই প্রতিবেদনে বলা হবে তিনি এসব ভাবেন না। তিনি জানেন প্রতিকূলতাকে জয় করাই হল মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ।
তিনি বার্বি থমাস (৩৭), দুই সন্তানের মা। মাত্র দুই বছর বয়সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুটি হাতই হারাতে হয় থমাসকে। দুর্ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে ছোট্ট থমাসের হাত দুটি পুড়ে কয়লার মতো কালো হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা তো বলেই দিয়েছিলেন, `থমাস আর বাঁচবে না। যদিও বেঁচেও থাকে তবে কোনো কাজই করতে পারবে না।’
তবে চিকিৎসকদের সব আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন থমাস। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার পর প্রাণে বেঁচে যান তিনি, যদিও হারাতে হয় দুটি হাতই। দুই হাত হারানোর পরও থমাসের জীবন যেমন থেমে থাকেনি, তেমনি থামেনি তার চেষ্টাও।
গত সপ্তাহে আমেরিকার এনপিসি জুনিয়র ইউএসএ বডিবিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপে সে প্রমাণই রাখলেন তিনি। সবাইকে অবাক করে ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেও কেবল একজনকেই দাঁড়িয়ে সম্মান জানিয়েছেন দর্শকরা। আর তিনিই হলেন বার্বি থমাস। অবশ্য তিনি বিশেষ কোনো পুরস্কার জিততে পারেননি। তবে থমাস সত্যিকার অর্থেই সে সম্মান পাওয়ার যোগ্য। অন্তত তিনি নিজেকে সেভাবেই তৈরি করেছেন।
দুহাত হারানোর পরও ছোট্ট থেকেই থমাস দেখেছেন বডিবিল্ডিংয়ের স্বপ্ন। পূরণও করেছেন সে স্বপ্ন। আর ৩৭ বছর বয়সে এসে পেলেন তার যোগ্য সম্মানও।
বার্বি জানান, অন্য আর দশটা মানুষ যা যা করতে পারেন তিনিও তার সবই করতে পারেন। পার্থক্য হলো এই যে, এসব কাজ করতে তিনি পা ব্যবহার করেন।
পা ব্যবহার করে থমাস দাঁত মাজা থেকে শুরু করে রান্নাবান্না, ফ্রিজ থেকে দুধ বের করা, মোবাইলে মেসেজিং, বাজার-সদাই করা, মেকআপ নেয়া এমনকি গাড়ি পর্যন্ত চালান।