আপনার সঙ্গে মুখোমুখি ফেসবুক
বিতর্ক কয়েকদিন ধরেই চলছিল। ম্যাসেঞ্জার অ্যাপ, গ্রে টি-শার্ট এমন কিছু 'বোকা বোকা' বিষয় নিয়ে মার্ক জুকারবার্গকে আক্রমণ করছিল বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকী হলিউডও তামাশা করতে শুরু করেছিল, জুকারবার্গ প্রতিদিনই একটাই ধূসর টি-শার্ট পরেন কেন?
ওয়েব ডেস্ক: বিতর্ক কয়েকদিন ধরেই চলছিল। ম্যাসেঞ্জার অ্যাপ, গ্রে টি-শার্ট এমন কিছু 'বোকা বোকা' বিষয় নিয়ে মার্ক জুকারবার্গকে আক্রমণ করছিল বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকী হলিউডও তামাশা করতে শুরু করেছিল, জুকারবার্গ প্রতিদিনই একটাই ধূসর টি-শার্ট পরেন কেন?
তিরিশ বছর বয়সী এই বিলিয়নার ফেসবুকের ক্যালিফোর্নিয়ার হেডকোয়র্টার থেকে এক ঘন্টা সময় কাটালেন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে। এই অনুষ্ঠানের কিছু বিরক্তিকর প্রশ্নের উত্তর দিলেন হাল্কা মেজাজে।
ম্যাসেঞ্জার অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক কেন ফেসবুকে আলাপচারিতা করতে?
স্যোশাল নেটওয়ার্কিংয়ের ১.৩ বিলিয়ন ব্যবহাকারী শুনতে চায় জুকারবার্গ কী কারণে মোবাইলে ফেসবুক ওয়েবসাইট থেকে ম্যাসেঞ্জার বন্ধ করে দেয়।
তার পরিপ্রেক্ষিতে মার্ক জুকারবার্গ জানান, সাধারণত অ্যাপে বিশেষ একটা জিনিসের ওপর ভাল কাজ করা যায়। ফেসবুক সাইটের থেকেও অ্যাপে খুব তাড়াতাড়ি ম্যাসেজ করা যাবে। অন্তত একসঙ্গে ১৫ জন বন্ধুর সাথে আলাপচারিতায় থাকতে পারবেন। আমরা সবসময় চেষ্টা করি, আপনার সুবিধার কথা ভাবতে। আমি মনে করি ম্যাসেঞ্জার আরও বেশী গতিশীল।
ফেসবুককে বিদ্যুতের মতো প্রয়োজনীয় করে তুলতে হবে
মার্ক জুকারবার্গের গভীর ঘুমে একটাই স্বপ্ন, পৃথিবীর যেকোনও প্রান্তে ফেসুবককে খুব সহজেই ব্যবহার করতে হবে। ভবিষ্যতের এই স্বপ্নকে সাকার দিতেই মানুষের জীবনে বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গ তোলেন।
মার্ক জানান, "আমার স্বপ্ন নয় কখনও ফেসবুককে 'কুল' তৈরি করতে। কারণ আমি কখনও 'কুল' নই। আমরা ফেসবুককে এমন একটা মডেল তৈরি করতে চাই, শুধুমাত্র সময় কাটানোর জন্য নয়, মানুষের প্রয়োজনীয় হয়ে উঠুক ফেসবুক।"
মার্ক জুকারবার্গ কেন প্রতিদিন একই টি-শার্ট পরেন?
সত্যিই তো। গুগলে সার্চ করলে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় একটি ধূসর টি-শার্ট পরে রয়েছেন জুকারবার্গ। এর পিছনে কী এমন রহস্য আছে? জুকারবার্গ স্বয়ং জানালেন, কেন তাঁকে একই টি-শার্টে দেখা যায়?
বলতে পারেন তাঁর নিছকই 'বোকামো' সিদ্ধান্ত। ছবিতে যে ধূসর টি-শার্ট দেখা যায় এরকম তাঁর কাছে একই রঙের অনেক টি-শার্ট রয়েছে। তবে উত্তর একটাই 'নিজেকে নিয়ে এত ভাবার সময় নেই'। তিনি তাঁর জীবন নিয়ে খুব স্পষ্ট ধারণায় বাঁচেন। তাঁর স্যোশাল নেটওয়ার্কিংয়ের বিপুল ব্যবহারকারীদেরকে সেবা দেওয়ার জন্যই প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠা। তিনি জানান, " আমি সত্যি সৌভাগ্যবাণ যে ঘুম থেকে উঠেই অসংখ্য মানুষের সেবায় মন দিই। যদি আমি নিজের জন্য এইরকম 'বোকা' কাজে শক্তি অপচয় করি তাহলে সারাদিন এত লোকের জন্য সেবা করতে শক্তি আর সময় পাওয়া যাবে না।
এইরকম আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর দিলেন মার্ক জুকারবার্গ। কিন্তু সামন্য একটা টি-শার্টের পিছনে এমন মহত্ ভাবনা কাজ করতে পারে তা শুনে 'হয়ত' স্যোশাল নেটওয়ার্কিংয়ের মানুষরা হতভম্ভ হয়ে পড়েছিল।
যাইহোক মার্ক জুকারবার্গের সম্পূর্ণ আলাপচারিতা তুলে ধরা হল ২৪ ঘন্টার পেজে