নিখরচায় বাড়ি সাজান এই পাঁচ সহজ গাছ দিয়ে
রোজকার রুটিন থেকে কয়েক মিনিট সময় দিলেই সুন্দর-সতেজ থাকবে এই গাছগুলি। কম খরচে খুব সহজেই আপনিও সুন্দর গাছ দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিবেশ সুন্দর রাখতে গাছের ভূমিকা কম-বেশি সবাই জানেন। তা ছাড়া গাছের সবুজ রঙ চোখের পক্ষে বেশ উপকারী। ঘরের কোনায় বা কাজের ডেস্কে একটি ছোট গাছের টব ঘরের শোভা বাড়ায়। তা ছাড়া ঘরে গাছ থাকলে তা কমে স্ট্রেস। পরিবেশ ও মন- দু'টিই ভাল রাখে গাছ।
কিন্তু ইন্ডোর প্লান্ট করতে গিয়েই বেশির ভাগ মানুষ পিছিয়ে আসেন কিছু কথা ভেবে। অনেক ভাবেন গাছ করা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আবার কেউ পকেটের কথা ভেবে পিছিয়ে আসেন। কারণ বাজারে বেশির ভাগ ইন্ডোর প্লান্টের দাম বেশ চড়া।
কিন্তু, কম খরচে খুব সহজেই আপনিও সুন্দর গাছ দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। ঘরের কোনের সবুজ অ্যালোভেরা অথবা বারান্দার লম্বা মানি প্লান্টের শোভায় তাক লাগিয়ে দিতে পারেন অতিথিদের। করতে হবে না অতিরিক্ত খরচ। রোজকার রুটিন থেকে কয়েক মিনিট সময় দিলেই সুন্দর-সতেজ থাকবে এই গাছগুলি।
রোজ পরিমিত জল দিলে আর কয়েক মাস অন্তর ডাল-পাতা ছেঁটে দিলেই এই গাছগুলি ভাল থাকে। তবে, ইন্ডোর প্লান্ট বলে সেই গাছ সব সময়ে ঘরের মধ্যে রেখে দেবেন না। সাত দিন অন্তর ঘর থেকে বার করে বারান্দা বা বাগানে রাখুন। মাথায় রাখবেন, ইন্ডোর প্লান্টেরও পর্যাপ্ত সূর্যের আলো প্রয়োজন।
জেনে নিন পাঁচ গাছের ব্যাপারে, যা আপনি করতে পারবেন কম খরচেই-
১) মানি প্লান্ট: এই গাছটির সঙ্গে প্রায় প্রত্যেকেই পরিচিত। ছোট টবে করতে পারলে ভীষণ সুন্দর লাগে এই গাছ। রাখতে পারেন আপনার কাজের ডেস্কে অথবা বইয়ের তাকে।
আপনার পরিচিত কারও মানি প্লান্ট থাকলে তাঁর থেকে গাছের কাটিং চাইতে পারেন। মাটি ভরতি টবে কয়েকটি কাটিং পুঁতে দিন। নিয়মিত জল দিন। ছায়ায় রাখুন। কয়েকদিনের মধ্যেই কাটিং-গুলি বাড়তে শুরু করবে। প্রয়োজন মতো ছেঁটে দেবেন। ব্যাস্, এটুকু করতে পারলেই সুন্দর থাকবে আপনার 'টাকার গাছ'।
২) অ্যালোভেরা গাছ: কসমেটিক্সের কৌটোয় এই গাছের ছবি সকলেই দেখেছেন। লম্বা পাতার কাঁটা কাঁটা এই গাছ দেখতে বেশ সুন্দর। আপনার বারান্দার শোভা বাড়াবে এই গাছ। শুধু তাই নয়, অ্যালোভেরার প্রচুর গুণও আছে। অ্যালোভেরার রস যে কোনও ধরনের ত্বকের পক্ষে উপকারি।
অ্যালোভেরা গাছ একবার ধরে গেলে প্রচুর চারা হয়। তাই এই গাছ আছে এমন কারও থেকে চেয়ে নিতে পারেন চারা। বাজারেও খুব বেশি দাম হয় না এই গাছের। তবে, এই গাছের গোড়ায় যেন জল না বসে সেই দিকে নজর রাথুন।
৩) এরিকা পাম: এই গাছের পাতা সুপারি গাছের মতো। অন্যান্য গাছের তুলনায় পাতার পৃষ্ঠভূমিও বেশি। ফলে, বেশি অক্সিজেন উত্পাদন হয়। ঘরের কোনে রাখলে বেশ সুন্দর লাগে এই গাছ। দেখভাল করা সহজ এবং দামও সাধ্যের মধ্যেই।
৪) মাদার-ইন-লস টাঙ: বেশ মজাদার নামের এই গাছ দেখতেও বেশ অন্যরকম। গাছটি ইদানিং ইন্টিরিয়ার ডিজাইনারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। হবে নাই বা কেন? ঘরের কোনে অল্প সরু জায়গাতেই রাখা যায়। লম্বা কালচে সবুজ পাতার দুই পাশে টানা হলুদ দাগ। অক্সিজেনের মাত্রাও অনেক বাড়িয়ে দেয়। বাজারে খুব বেশি দাম না। অ্যালোভেরার মতোই পাশ দিয়ে চারা বের হয় এই গাছের।
৫) রাবার গাছ: অন্যান্য গাছের তুলনায় এই গাছের আকার বেশ বড়। তাই ঘরের দালানে বা বারান্দায় বেশ সুন্দর লাগে এই গাছ। দেখভাল করাও সহজ। দামও খুব বেশি না। ঘরের অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে এই গাছ। কালচে সবুজ পাতার এই গাছ আপনার গৃহসজ্জায় মূল আকর্ষণ হবে।