মন ভাল নেই কর্পোরট জগতের, চলছে বিশ্বব্যাপী দাওয়াইয়ের সন্ধান
মন খারাপের দাওয়াই খুঁজছে কর্পোরেট জগত। কর্মক্ষেত্রে মানসিক অবসাদ এক বিশ্বব্যাপী অসুখ। তার ফলে শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নন,সমস্যায় পড়ে তার প্রতিষ্ঠানও। একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিবছর বিষাদের জন্য প্রায় ৯হাজার ২০০ কোটি ডলার গুনতে হয় ইউরোপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে।
মন খারাপের দাওয়াই খুঁজছে কর্পোরেট জগত। কর্মক্ষেত্রে মানসিক অবসাদ এক বিশ্বব্যাপী অসুখ। তার ফলে শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নন,সমস্যায় পড়ে তার প্রতিষ্ঠানও। একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিবছর বিষাদের জন্য প্রায় ৯হাজার ২০০ কোটি ডলার গুনতে হয় ইউরোপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে।
কর্মচারিদের মন ভাল রাখতে এবার উদ্যোগী হল প্রথম সারির কয়েকটি বাণিজ্যিক সংস্থা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি পাঁচজন বয়স্ক নাগরিকের মধ্যে একজন মানসিক অবসাদে ভোগেন। গড়ে দুই থেকে ৫% কর্মচারি ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হন। বিশ্বের সর্বত্রই কর্মক্ষেত্রে মানসিক বিষণ্ণতা বা অবসাদ বাড়ছে। একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ইউরোপে প্রতি দশজন কর্মচারির মধ্যে একজন কাজের সময় বিষাদগ্রস্ত থাকেন। স্পেন এবং ফ্রান্সে সংখ্যাটা প্রতি পাঁচজনে একজন।
কাজের জায়গায় কেন এত বেশি সংখ্যক মানুষ মানসিক সমস্যায় পড়়ছেন? মনস্তত্ত্ববিদেরা তার বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। এক,কাজের চাপ। বিশেষত যে সব কাজে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। দুই,কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য বা হেনস্থা। বসের বকাবকি থেকে ম্যানেজমেন্টের হুমকি--সবই মানসিক অবসাদ বাড়াতে পারে। তিন,আর্থিক কিংবা চাকরির অনিশ্চয়তা। চার,অফিসের রেশ বাড়ির চৌহদ্দিতে ঢুকে পড়া। এক্ষেত্রে মোবাইল ফোন,ল্যাপটপ বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজের ইমেল পরীক্ষা করার প্রবণতার কথা বলা হচ্ছে। অফিস চাইছে কর্মচারিরা বাড়িতে বসেও কাজের কথা ভাবুক। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হচ্ছে।
কর্মচারিদের মানসিক অবসাদের হাত থেকে বাঁচাতে সক্রিয় হয়েছে একাধিক শিল্পসংস্থা। কিন্তু কেন? পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে,কর্মীরা ঝিমিয়ে থাকলে বা অসুস্থ হলে মার খাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। প্রথম লোকসান শ্রমদিবসের ক্ষতি । দ্বিতীয় সমস্যা উত্পাদনশীলতা। মানসিক অবসাদের জন্য প্রতি বছর প্রায় ২৭ দিন নষ্ট হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার আর্থিক মূল্য ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। কর্মচারিদের উত্পাদনশীলতা কমার ফলে ইউরোপে বছরে ৯ হাজার ২০০ কোটি ডলার লোকসান হয় কর্পোরেট জগতের ।
প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে নজর দিতে হবে কর্মচারিদের মানসিক স্বাস্থ্যে। নিজেদের স্বার্থেই তাই মন খারাপের দাওয়াই খুঁজছে কর্পোরেট জগত।