প্রাণের উৎসবে আবির খেলা খুশি আনে, পেটে ভাত জোটে না কারিগরের

দোরগোড়ায় দোল। আর দোল মানেই রং আর  আবিরের উত্সবে মাতবে বাংলা। ছোটরা রংয়ের দিকে ঝুঁকলেও বয়স্কদের মধ্যে এখনও দোলে আবিরের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের আঁচনা গ্রামের দুটি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে আবির তৈরি ব্যবসায় যুক্ত। তবে চাহিদা থাকলেও সেভাবে লাভের মুখ দেখেন না বলেই জানাচ্ছেন কারিগররা।

Updated By: Feb 28, 2015, 03:10 PM IST
প্রাণের উৎসবে আবির খেলা খুশি আনে, পেটে ভাত জোটে না কারিগরের

ওয়েব ডেস্ক:দোরগোড়ায় দোল। আর দোল মানেই রং আর  আবিরের উত্সবে মাতবে বাংলা। ছোটরা রংয়ের দিকে ঝুঁকলেও বয়স্কদের মধ্যে এখনও দোলে আবিরের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের আঁচনা গ্রামের দুটি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে আবির তৈরি ব্যবসায় যুক্ত। তবে চাহিদা থাকলেও সেভাবে লাভের মুখ দেখেন না বলেই জানাচ্ছেন কারিগররা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের আঁচনা গ্রাম। গ্রামের পুরকাইত ও হালদার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে আবির তৈরির ব্যবসায় যুক্ত। সারা বছর ধরে আবির তৈরি হলেও দোলের সময় চাহিদাটা বেড়ে যায় কয়েকগুন। তাই নাওয়া খাওয়া ভুলে এই দুটি পরিবারে আবির তৈরির কাজ করছেন ২০ জ ন কারিগর। ছোট মেশিনে ডলোমাইটের গুঁড়ো, রঙ, তেল, জল দিয়ে তৈরি হচ্ছে লাল, হলুদ, সবুজ, গোলাপিসহ সাতটি ভিন্ন রঙের আবির।

ক্যানিং , নামখানা, ডায়মন্ডহারবার, কাকদ্বীপ, খড়দহ থেকে শুরু করে কলকাতার বড়বাজারে আবির সরবরাহ হয় মন্দিরবাজারের আঁচনা গ্রাম থেকে।

দিনে গড়ে ৫০ প্যাকেট আবির তৈরি হয়। প্রতি প্যাকেটে ২৫ কিলো করে আবির থাকে। তবে কাঁচা মালের দাম বেড়ে যাওয়ায় আবির তৈরির খরচ বেড়েছে। সেতুলনায় লাভের মুখ দেখছেন না কারিগররা।

.