কখন, কেন জীবনে দুর্ঘটনা বা বিপর্যয় ঘটতে পারে? জানুন জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যাখ্যা
দেখে নেওয়া যাক দুর্ঘটনা কখন এবং কেন হতে পারে...
আমাদের জীবন নানা সমস্যায় জর্জরিত। যেমন, গ্রহ শুভ ও অশুভ প্রভাব বিস্তার করে, তেমনই অশুভ বাস্তুর প্রভাবেও জীবনে উন্নতি ও বাধার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় দেখা যায় গ্রহ দোষ না থাকলেও জীবনে বাধা বিপত্তি আসছে। যেমন ধরুন, পথ দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদি। রাশিচক্রে দুর্ঘটনা বিচারের সময় দেখে নিতে হবে প্রাণহানির কোনও আশঙ্কা আছে কিনা! সধারণত, রাশিচক্রে যে সব গ্রহ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী, ওই গ্রহের দশান্তদশায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রবল থাকে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, দুর্ঘটনার জন্য মূলত অষ্টম ভাবকে দায়ী মনে করা হয়। আবার গ্রহর বিচারে দেখতে গেলে মুখ্য কারক মঙ্গল, শনি, রাহু, কেতু ও চন্দ্রের প্রভাবকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। দুর্ঘটনার বিচারে চন্দ্র খুব দুর্বল নির্দেশক। কারণ, একমাত্র চন্দ্র ভ্রমণে বা জলে দুর্ঘটনা নির্দেশ করে। তবে প্রধানত মঙ্গলই হল দুর্ঘটনার কারক গ্রহ। এ বার দেখে নেওয়া যাক দুর্ঘটনা কখন এবং কেন হতে পারে...
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, জীবনে পথ দুর্ঘটনা বা বিপর্যয় কখন এবং কেন হতে পারে:
১) দুঃস্থানে বা নীচ-ক্ষেত্রে মঙ্গল পাপগ্রহ দ্বারা দৃষ্ট বা যুক্ত হলে শারীরিক আঘাত প্রাপ্তির আশঙ্কা থাকে।
২) অষ্টম-ভাব, অষ্টম-পতি এবং মঙ্গল পাপগ্রহের মধ্যগত বা পাপযুক্ত ও দৃষ্ট হলে দুর্ঘটনার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়।
৩) রাশিচক্রে রাহু-মঙ্গল যোগ অশুভ সূচক। রাহু ও মঙ্গলের সহাবস্থান বা দৃষ্টি বিনিময় ঘটলে আকস্মিক আঘাতে রক্তপাতের আশঙ্কা থাকে। এর সঙ্গে কোনও ভাবে অষ্টম-ভাব বা অষ্টম-পতির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করলে দুর্ঘটনার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: দাঁত দিয়ে নখ কাটেন? জেনে নিন আপনার চরিত্র, ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র
৪) শনি মঙ্গলের সহাবস্থান বা দৃষ্টি বিনিময় ঘটলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে। বিশেষ ভাবে ওই গ্রহ দুটির মধ্যে যদি কোনও গ্রহ অষ্টম-পতি হয় অথবা অষ্টম-ভাবে অবস্থিত হয়।
৫) অষ্টমে শনি এবং চতুর্থ-পতি ষষ্ঠে অবস্থান করলে ভ্রমণরত অবস্থায় দুর্ঘটনার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়।