রাগ, হতাশা কাটাতে এখানে যত খুশি ভাঙচুর করুন, কেউ কিচ্ছু বলবে না!
‘অ্যাঙ্গার রুম’-এ যান। মন ভরে ভাঙচুর করুন। কেউ কিস্যু বলবে না! উল্টে উত্সাহ দেওয়া হবে এখানে!
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়িতে মা-বৌয়ের ঝামেলা মেটাতে নাজেহাল! দিনের পর দিন অফিসে বস বা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অপমানজনক কথা হজম করতে করতে জীবন অতিষ্ঠ! মনের মধ্যে রাগ, হতাশা জমিয়ে রাখবেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে শরীর ও মনের মারাত্মক ক্ষতি হয়! দেখা দিতে পারে নানা মানসিক সমস্যা। শুধু তাই নয়, মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনাকে আত্মহত্যাপ্রবণ করে তুলতে পারে! ভাবছেন, তাহলে কী করবেন? কী ভাবে মন হালকা করবেন? ‘অ্যাঙ্গার রুম’-এ যান। মন ভরে ভাঙচুর করুন। কেউ কিস্যু বলবে না! উল্টে উত্সাহ দেওয়া হবে এখানে!
অবাক হচ্ছেন! অবিশ্বাস্য হলেও আপনার মনের মধ্যে জমে থাকা রাগ, হতাশা কাটানোর জন্য এমন ‘অ্যাঙ্গার রুম’ রয়েছে চিনের বেজিংয়ে। এই ‘অ্যাঙ্গার রুম’-এ রয়েছে পুরনো টেলিভিশন সেট, কম্পিউটার, ম্যানিকুইন (মানুষের আকৃতির পুতুল যা জামা-কাপড়ের শো রুমেও সাজানো থাকে), ওয়াইনের বোতল, ঘড়ির মতো আরও অনেক ছোট-বড় জিনিস। আর এগুলি ভাঙার জন্য ছোট-বড় হাতুড়ি, মুগুর, লোহার রড। রাগ কমানোর জন্য যেটা পছন্দ, তুলে নিন। এ বার মন ভরে ভাঙচুর করুন, যত ক্ষণ না রাগ কমছে। তার পর এই সময়টুকুর দাম মিটিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
আরও পড়ুন: নিশ্চিন্তে ঘুমোতে প্রতিদিন McDonald's-এ যাচ্ছেন কয়েকশো মানুষ!
বেজিংয়ের বাসিন্দা বছর পঁচিশের যুবতী জিন মেং গত সেপ্টেম্বরে জনসংযোগের চাকরি ছেড়ে এই ‘অ্যাঙ্গার রুম’ চালু করেন। এখন দেখতে দেখতে এই ‘অ্যাঙ্গার রুম’-এর খদ্দেরের সংখ্যা প্রতি মাসে ৬০০ ছাড়িয়েছে! মেং জানান, এখানে যাঁরা আসেন, তাঁদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। মেং জানান, এই ‘অ্যাঙ্গার রুম’-এর সাহায্যে প্রতি মাসে কয়েকশো মানুষের মানসিক চাপ কমাতে পেরে তিনি খুশি। আর মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে এখন যত টাকা তাঁর প্রতিদিন আয় হচ্ছে, তা তিনি এই ‘অ্যাঙ্গার রুম’ চালু করার সময় ভাবতেও পারেননি। তবে মাস গেলে তাঁর পকেটে কত আসছে, তা অবশ্য জানা যায়নি।