World Cancer Awareness Day: হাতের কাছের এই পাঁচটি ঘরোয়া খাবার সহজেই ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে...
World Cancer Awareness Day: রোগের ক্ষেত্রে সব চেয়ে আগে মাথায় আসে খাবার-দাবারের প্রসঙ্গ। আসুন দেখে নেওয়া যাক, আমাদের হাতের কাছে এমন কোন কোন খাবার লভ্য়, যাকে হাতিয়ার করে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই সম্ভব।
![World Cancer Awareness Day: হাতের কাছের এই পাঁচটি ঘরোয়া খাবার সহজেই ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে... World Cancer Awareness Day: হাতের কাছের এই পাঁচটি ঘরোয়া খাবার সহজেই ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে...](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/11/07/395568-cancerpreventingfood.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক্যানসার এখনও অতি ভীতিপ্রদ এক রোগ। কিন্তু এখন এটা মোটামুটি ঘরে-ঘরে ঢুকে পড়েছে। বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধাপে ধরা পড়ছে, সেই মতো চিকিৎসাও চলছে। চিকিৎসা তো চলবেই, পাশাপাশি নিজের মতো করে একটা চেষ্টাও করা যেতে পারে। রোগের ক্ষেত্রে সব চেয়ে আগে মাথায় আসে খাবার-দাবারের প্রসঙ্গই। আসুন দেখে নেওয়া যাক, আমাদের হাতের কাছে এমন কোন কোন খাবার লভ্য় যাকে হাতিয়ার করে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব।
ক্যাবেজ জাতীয় সবজি:
বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, ওলকপি, শালগম। এই ধরনের সবজিতে আইসোথায়োসায়ানেট নামে এক ধরনের ফাইটোকেমিক্যাল থাকে। যা ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম। এ ছাড়াও এগুলিতে ক্যানসার প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে অন্যান্য কয়েকটি সবজিও কার্যকরী। যেমন: পিঁয়াজ, মরিচ, গাজর, বিট।
বাদাম:
চিনাবাদাম ভিটামিন-ই এর সব চেয়ে ভালো উৎস। ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ চিনাবাদাম কোলন, ফুসফুস, যকৃত এবং অন্যান্য ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। সকালে কিংবা বিকেলের খাবারে একটু চিনাবাদাম রাখতেই পারেন।
মাশরুম:
উচ্চ পুষ্টিসম্পন্ন এই মাশরুম। এটি যে কোনও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ক্যানসারের বিরুদ্ধেও লড়াই করে।
আরও পড়ুন: World Cancer Awareness Day: সহজে কী ভাবে বুঝবেন ক্যানসার হয়েছে? বাড়িতে বসেই চিনে নিন লক্ষণ...
তৈলাক্ত মাছ:
কিছু কিছু মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটি প্রকৃতিগত ভাবে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিটিউমার ও অ্যান্টিক্যানসার বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ফলে, তৈলাক্ত মাছ খাদ্য তালিকায় রাখুন।
গ্রিন টি:
ক্যানসার রোগীর মৃত্যুর প্রধান কারণ মেটাস্ট্যাসিস বা ক্যানসার-আক্রান্ত কোষের ছড়িয়ে পড়া। গ্রিন টি-তে রয়েছে পলিফেনোলিক কম্পাউন্ড, ক্যাটেচিন, গ্যালোক্যাটেচিন এবং ইজিসিজি (অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে, টিউমার বৃদ্ধি রোধ করে ও গোটা শরীরে ক্যানসারের ছড়িয়ে-পড়া বা মেটাস্ট্যাসিস রুখে দেয়। ফলে নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যানসার যদি প্রাথমিকস্তরে শনাক্ত করা যায় তাহলে খুব দ্রুত এবং সহজেই এ রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। ক্যানসার চিকিৎসকেরা বলে থাকেন, একেবারে শুরুর দিকে শনাক্ত করা গেলে সব ক্যানসারই আরোগ্যযোগ্য। তাই উপসর্গের ব্যাপারেও একটু সচেতন থাকা দরকার। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই ক্যনসারের উপসর্গ নিয়ে সচেতন নন। উপসর্গ সম্পর্কে তাঁদের কোনো ধারণাই নেই! তবে যদি উপসর্গ চিনে নিতে পারেন এবং দেখেন যে, এই সব উপসর্গের কোনো একটি বা দুটি ৩ সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে স্থায়ী হচ্ছে, তা হলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।