খিটখিটে, ‘খারাপ’ বসের পাল্লায় পড়ে জীবন জেরবার! এর ভাল দিকগুলি জানেন তো?

একবার মিলিয়ে দেখে নিন, কথাগুলি ঠিক কিনা...

Updated By: Oct 20, 2019, 05:18 PM IST
খিটখিটে, ‘খারাপ’ বসের পাল্লায় পড়ে জীবন জেরবার! এর ভাল দিকগুলি জানেন তো?
—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন: অফিসে আপনার বস কি খুব খিটখিটে স্বভাবের? কথায় কথায় বকাবকি করেন? হাজার চেষ্টার পরও আপনার বেশির ভাগ কাজই কি তাঁর মনঃপুত হচ্ছে না? আপনার ক্ষেত্রেই কি বস একটু বেশি কড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন? বাকিরা ছুটিছাটা সময় মতো পেলেও আপনি পাচ্ছেন না? এই সবকটি প্রশ্নের উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয় তাহলে এখনই ভেঙে পড়ার মতো কিছু হয়নি। অফিসের পরিবেশ যদি বাকিদের তুলনায় আপনার জন্য বেশি প্রতিকূল হয়, তাহলে ধৈর্য ধরুন। কারণ, কঠিন পরিস্থিতিতে কাজের জন্য আপনার মানসিক প্রস্তুতি ও কারিগরি দক্ষতা অফিসের বাকিদের তুলনায় ক্রমশ বাড়ছে। খারাপ বসের পাল্লায় পড়ে এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি ব্যপারে উপকৃত হচ্ছেন আপনি। একবার মিলিয়ে দেখে নিন, কথাগুলি ঠিক কিনা...

১) বারবার কঠিন পরিস্থিতিতে, চাপের মুখে কাজ করতে করতে ধৈর্যের পরীক্ষায় টিকে থাকতে শিখে নিচ্ছেন আপনি। বাড়ছে ধৈর্য, সহ্য শক্তি।

২) বসের সপ্তমে চড়ে থাকা মেজাজের সঙ্গে যুঝতে যুঝতে আপনার আত্মবিশ্বাসও বাড়তে থাকে।

৩) যে কোনও কাজ নিয়ে বাকিদের চেয়ে বেশি ‘হোমওয়ার্ক’-এর অভ্যাস তৈরি হয়। ফলে বাড়ে কাজের দক্ষতা।

৪) কঠিন পরিস্থিতিতে, চাপের মুখে কাজ করতে করতে অফিস এবং বসের দুর্বলতা সম্পর্কে অনেক বেশি অবগত থাকবেন আপনি। ফলে ফাঁক-ফোকড় বুঝে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটা আপনার চেয়ে ভাল কেউ করতে পারবে না।

আরও পড়ুন: জেনে নিন বডিস্প্রের সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করার কয়েকটি অব্যর্থ কৌশল

৫) বসের তিরস্কারের হাত থেকে বাঁচতে সময় মতো বা সময়ের আগেই কাজ শেষ করার তাগিদটা বাকিদের চেয়ে আপনার অনেকটাই বেশি। তাই কাজের গতিও আপনার বাড়বে। অর্থাৎ, সময়ের কাজ সময়ের মধ্যে মিটিয়ে ফেলার অভ্যাসটি রপ্ত হয়ে যায়।

৬) চাপের মধ্যে কাজ করার ফলে নিজের ইতিবাচক দিকগুলির বিকশিক হওয়ার সুযোগ অনেকটাই বেশি। ফলে ভবিষ্যতে নতুন কোনও সংস্থায় নতুন কোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়াটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

.