বাসের রেষারেষিতে মৃত্যু, জীবন বাজি রেখে বাইক ছুটিয়ে ঘাতক বাস ধরলেন যুবক
পথনিরাপত্তায় সচেতনতা বাড়াতে রাজ্য জুড়ে 'সেফ ড্রাইভ, সেফ লাইফ' প্রচার চললেও হুঁশ ফেরার কোনও লক্ষ্মণ নেই। একই দিনে বাসের রেষারেষির দু'টি ঘটনায় কলকাতায় মৃত্যু হল ২ জনের। প্রথম ঘটনাটি ঘটে খান্নায়, পরেরটি সিআইটি রোডের পদ্মপুকুরে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পথনিরাপত্তায় সচেতনতা বাড়াতে রাজ্য জুড়ে 'সেফ ড্রাইভ, সেফ লাইফ' প্রচার চললেও হুঁশ ফেরার কোনও লক্ষ্মণ নেই। একই দিনে বাসের রেষারেষির দু'টি ঘটনায় কলকাতায় মৃত্যু হল ২ জনের। প্রথম ঘটনাটি ঘটে খান্নায়, পরেরটি সিআইটি রোডের পদ্মপুকুরে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৌলালির দিক থেকে তীব্র গতিতে আসছিল ৭২ নম্বর রুটের একটি বাস ও পিকনিক গার্ডেন-হাওড়া রুটের একটি মিনিবাস। একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার জন্য রেষারেষি চলছিল তাদের মধ্যে। এমন সময় সিআইটি রোডে পদ্মপুকু়র মোড়ের কাছে এক যুবক গলি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় উঠতেই তাঁকে ধাক্কা মারে মিনি বাসটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। যুবকের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন, সাতসকালেই খান্না মোড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা
এদিকে ধাক্কা মারার পরই ডিভাইডারের ফাঁক গলে উল্টোদিকের লেন ধরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ঘাতক মিনিবাসটি। মোটর সাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে ঘাটক মিনিবাসটিকে ধরে ফেলেন পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ অভিজিত্ রায়। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে যাচ্ছিলেন অভিজিত্। দুর্ঘটনা দেখেই বাইক ছুটিয়ে মিনিবাসটিকে ধাওয়া করেন তিনি।
পদ্মপুকুরের কাছে বাসটির রাস্তা আটকে দাঁড়ান অভিজিত। বিপদ বুঝে বাস ফেলে পালিয়ে যান চালক। এরপরই বাসে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। দুর্ঘটনার জেরে ব্যাপক যানজট দেখা দেয় সিআইটি রোডে।