কেন ডানা ছেঁটে সুব্রতর ঘরে বেচারাম? তথ্যতালাশ ২৪ ঘণ্টায়
এক মন্ত্রীর ঘরে আরেক মন্ত্রী। এভাবেই সুব্রত মুখার্জির ডানা ছেঁটেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দফতরের একটি বিশেষ প্রকল্প দিয়ে দেওয়া হয়েছে বেচারাম মান্নাকে। কিন্তু কেন? তারই তথ্যতালাশ ২৪ ঘণ্টায়।
সময়ে সময়ে মন্ত্রীদের কাজের হিসেবনিকেশ নিজে বুঝে নেন মুখ্যমন্ত্রী। কাজ ঠিক, তো ALL OK। নয়ত জোটে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক-- শাস্তি। এ তালিকায় কোনওদিনই শোনা যায়নি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জির নাম। বরং কর্মসাফল্যের তালিকায় মন্ত্রী সুব্রত বরাবরই ওপরের দিকে। অথচ গত মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে তারই ডানা ছাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দফতরের এক বড় টাকার প্রকল্পের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়েছে বেচারাম মান্নাকে। কেন এই সিদ্ধান্ত, এ প্রশ্নে জল্পনার অন্ত নেই। জানা যাচ্ছে, রাজনৈতিক কারণের পাশাপাশি, জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা প্রকল্প রূপায়ণে পঞ্চায়েত দফতরের ব্যর্থতাও মুখ্যমন্ত্রীর রাগের কারণ।
কেন্দ্রের এই প্রকল্প প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার। যাতে ৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাঙ্ক। দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের উন্নয়ন, তাঁদের স্বনির্ভর করে তোলাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এর রূপায়ণে প্রথম কাজ, হতদরিদ্র মানুষগুলিকে চিহ্নিত করা। এরপর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ধাঁচে গোষ্ঠী তৈরি করতে হবে। কে, কোন কাজে পারদর্শী তা জেনে নিতে হবে। এরপরের কাজ সেইমতো তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মসংস্থানে সহযোগিতাও প্রকল্পের অঙ্গ। এক কথায়, এই সমস্ত গোষ্ঠীর মানুষজন যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন, তা সুনিশ্চিত করে দিতে হবে।
প্রাথমিক সব ব্যবস্থা করে ফেলার পর তা নিয়ে কেন্দ্রকে একটি রিপোর্ট পাঠাবে রাজ্য। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ণ দফতর সব যাচাই করে মঞ্জুর করার পরই প্রকল্পের টাকা আসবে রাজ্যে। আর এখানেই যত বিপত্তি। কারণ রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ণ দফতর এই প্রকল্প নিয়ে কার্যত কোনও গা করেনি। কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠানো দূর অস্ত্, কিছুই কাজ হয়নি প্রকল্পের। রুষ্ট মুখ্যমন্ত্রীর কোপ তাই কি সরাসরি নেমে এল সুব্রত মুখার্জির ওপর!