পারফিউমের দোকানে ফুলকি থেকেই ভস্মীভূত বাগরি মার্কেট
সামান্য পারফিউমের দোকানের আগুন রীতিমতো আগ্নেয়গিরির চেহারা নেয় বাগরি মার্কেটে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাগরি মার্কেটে আগুনের উত্স কী? তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটে নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যাচ্ছে, শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ মার্কেটের হকার স্টলে একটি পারফিউমের দোকানে আগুন লাগে। রাস্তার ধারেই ল্যাম্প পোস্ট থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। পারফিউমের দোকানে একের পর এক ডিওডের্যান্টের ক্যান ফাটে। মার্কেটের ভিতরে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। ছড়িয়ে পড়তে থাকে আগুন।
মার্কেটে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায়, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তিন তলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাত থেকেই জোর কদমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু সকাল পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। সকালের দিকে মার্কেটের ছ’তলায় আগুন ছড়িয়ে প়ড়ে।
আরও পড়ুন: ৬ তলায় ছড়িয়ে পড়ল আগুন, বিস্ফোরণে কাঁপছে এলাকা, 'আগ্নেয়গিরি' বাগরি
সামান্য পারফিউমের দোকানের আগুন রীতিমতো আগ্নেয়গিরির চেহারা নেয় বাগরি মার্কেটে। দমকল কর্মীদের দাবি, এত বড় মার্কেটে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হচ্ছে। মার্কেটের কর্মীরাও সেকথা জানিয়েছেন। যদিও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা বিষয়টি স্বীকার করতে চাননি। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যে সঠিক ছিল না, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘নিজে এসেছি, বারবার সতর্ক করেছি। তবুও ওঁদের টনক নড়েনি।’ কিন্তু নন্দরাম মার্কেটের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়েও কেন অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না এশিয়ার এত বড় মার্কেটে, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
মার্কেটের তিন তলায় বিস্তীর্ণ অংশ ইট, সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে। সেখানে আগুন থাকলেও, জল গিয়ে পৌঁছছে না। তিন দিক থেকেই আগুন নেভানোর কাজ চলছে।