কেমন আছে চেতলা-লোহা ব্রিজ? সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
মাঝেরহাটে সেতু বিপর্যয়ের জেরে রাত থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যানজট। সেতুর কলকাতামুখী লেনে প্রবল যানজটের সম্মুখীন হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের জের। বিভিন্ন রাস্তায় প্রবল যানজট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ জরুরি বৈঠকের ডাক মুখ্যমন্ত্রীর। বৈঠকে থাকবে পূর্ত দফতর, কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ, সেচ দফতর ও পুলিস। কার কী দায়িত্ব তা ঠিক করতে তৈরি হবে নির্দিষ্ট রূপরেখা। শহরের অন্যান্য সেতুর পরিকাঠামো নিয়েও আলোচনা হবে এই বৈঠকে। কিন্তু, এই মুহূর্তে কেমন আছে শহরের দুই বয়স্ক এবং অতি ব্যস্ত সেতু?
যতীন দাস সেতু/চেতলা ব্রিজ
পোশাকি নাম শহিদ যতীন দাস সেতু। তবে, একডাকে সকলে চেনেন চেতলা ব্রিজ বলেই। চটজলদি রাসবিহারী থেকে চেতলা পৌঁছতে গেলে এই ব্রিজই ভরসা। কিন্তু, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ ব্রিজের হালও বেহাল। সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের আমলে ১৯৭৫ সালে তৈরি। তারপর থেকে খুব বেশিবার ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে, এমন দাবি করবেন না কেউ। মাঝেমধ্যে ওই একটু আধটু সারাই। জোড়াতাপ্পির প্যাচ ওয়ার্ক। ওই পর্যন্তই। সেতুর ওপর দিয়ে বড় গাড়ি গেলে কেঁপে ওঠে গোটা সেতু। জি ২৪ ঘণ্টার চোখে ধরা পড়ল সেতুর গায়ের চওড়া ফাটলও। মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পর চাপ বেড়েছে এই ব্রিজের উপরও। নিউ আলিপুর থেকে রাসবিহারী পৌঁছতে এই ব্রিজই ভরসা বেহালাবাসীর। কিন্তু, অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে পারবে তো এই সেতু? প্রশ্ন তুলছেন আম জনতা।
লোহা ব্রিজ
কলকাতার অন্যতম পুরনো ব্রিজ এটি। খিদিরপুর থেকে মোমিনপুর পৌঁছনোর অন্যতম বড় ভরসা নোহা ব্রিজ। কিন্তু, ঝাঁ চকচকে ব্রিজের তলায় চোখ রাখলেই ধরা পড়বে হাড় জিরজিরে চেহারাটা। লোহার কাঠামোর প্রতি অংশে মরচে। জল চুঁইয়ে চুইঁয়ে বেরিয়ে পড়েছে কঙ্কাল। কবে শেষ রক্ষণাবেক্ষণ হয়েছে মনে করতে পারছেন না কেউ। ইতিউতি বেরিয়ে রয়েছে লোহার পাত। যে কোনও দিন ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। ফিরতে পারে মাঝেরহাটের দুঃস্বপ্ন।
মাঝেরহাটে সেতু বিপর্যয়ের জেরে রাত থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যানজট। সেতুর কলকাতামুখী লেনে প্রবল যানজটের সম্মুখীন হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। বেহালাগামী সমস্ত গাড়ি ও বাসকে হাইড রোড হয়ে হেস্টিংস ধরে যেতে হচ্ছে। তার জেরে বিদ্যাসাগর সেতুতে নজিরবিহীন যানজট। সমস্ত যানবাহনকে হাওড়া ব্রিজ ধরার পরামর্শ পুলিসের। মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ে আজও রাস্তায় ভোগান্তি। অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। সিজিআর রোড ও হাইড রোডে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। এছাড়াও তারাতলা রোড, সাহাপুর রোড, দুর্গাপুর ব্রিজ, বিদ্যাসাগর সেতু ও এন আর অ্যাভিনিউ দিয়েও যান চলাচলের গতি অত্যন্ত কম। গন্তব্যে পৌঁছতে অনেক সময় লাগছে নিত্যযাত্রীদের।