Primary Teacher Recruitment Scam: প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল, ৩ মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ আদালতের
Justice Abhijit Gangopadhyay:প্রাথমিকের ৩৬০০০ চাকরি বাতিল করল আদালত। অপ্রশিক্ষিত ৩৬০০০ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ৩ মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
![Primary Teacher Recruitment Scam: প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল, ৩ মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ আদালতের Primary Teacher Recruitment Scam: প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল, ৩ মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগের নির্দেশ আদালতের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/05/12/420354-jb.jpg)
অর্ণবাংশু নিয়োগী: ৩৬ হাজার প্রাইমারি (TET) শিক্ষকের চাকরি বাতিল। প্রশিক্ষণহীনদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের। তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ করার নির্দেশ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর রায় দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। যারা ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন তাদের চাকরি থাকবে। তবে এখনই কারও চাকরি যাবে না। আগামী চার মাস তাঁরা চাকরি করবেন। তবে পার্শ্ব শিক্ষকের স্তরে বেতন পাবেন।
আরও পড়ুন, Abhishek Banerjee: ফের অস্বস্তিতে অভিষেক, কুন্তলের চিঠি মামলায় কী জানালেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা?
২০১৪ র টেটের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয় তার মাধ্যমে প্রায় ৪২৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়। মামলায় অভিযোগ ওঠে যে সংরক্ষণ নীতি না মেনেই নিয়োগ হয়েছিল। এই মামলার প্রেক্ষিতেই অভিযোগ ওঠে যে অ্যাপটিচিউড টেস্ট না নিয়েই ইচ্ছামত নম্বর দেওয়া হয়েছে এবং ইন্টারভিউ নিয়ম মেনে হয়নি। কারও ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতি না মেনে নিয়োগ হয়েছে। এই মামলাতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইন্টারভিউয়ার অর্থাৎ যারা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
প্রসঙ্গত, এই সময়কালের মাঝে কেউ যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন, তাঁদের চাকরি অবশ্য থাকবে। এ বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'পদ্ধতিগত নানা বিষয় বলে এই রায়। জেদাজেদির ফলে কেউ যেন অহেতুক বলি না হয়। আমরা চাই ন্যায় বিচার থাকুক। কিন্তু বারবার বলা হচ্ছে এই হয়েছে ওই হয়েছে কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে যথেষ্ট তথ্য দিতে পারছে না। ত্রিপুরাতে বাম জমানয় ১০ হাজাপ লোকের চাকরি গিয়েছে। এখানে বড় বড় কথা বলছে। আমরা বলছি সকলে ন্যায় বিচার পাক।'
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০১৪ সালের টেট থেকে শিক্ষক নিয়োগের নেপথ্যে দুর্নীতিতে রয়েছেন তৎকালীন বোর্ড সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এমনকী সরকার মনে করলে মানিক ভট্টাচার্যর থেকে টাকা নিয়ে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত করবে। উল্লেখ্য,অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কিছু প্রার্থী নিয়োগ না পাওয়ার পর হাইকোর্টে মামলা করেছিল। তাঁদের অভিযোগ ছিল, প্রশিক্ষণ না পেয়েও চাকরির সুপারিশ দেওয়া হয়েছে অনেককেই। এই মামলাটি ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে।
আরও পড়ুন, DA Protest: 'রাতে পুলিস কী করে দেখে ব্যবস্থা নেব', ধরনার দাবিতে অনড় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ