সব জল্পনার অবসান! আগামী সপ্তাহে রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন এম কে নারায়ণন

আগামী সপ্তাহেই পদত্যাগ করতে পারেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এবিষয়ে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে খবর।

Updated By: Jun 28, 2014, 09:47 AM IST

আগামী সপ্তাহেই পদত্যাগ করতে পারেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এবিষয়ে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে খবর। ক্ষমতায় আসার পরেই ইউপিএ-টু আমলে নিযুক্ত রাজ্যপালদের অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদীর সরকার। যার জেরে শুরু হয় বিতর্ক। ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিসগড় এবং নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল। সেই রাস্তায় হেঁটেই সম্ভবত পদত্যাগ করতে চলেছেন এম কে নারায়ণনও।

ক্ষমতায় আসার পরেই ইউপিএ-টু আমলের রাজ্যপালদের অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় নরেন্দ্র মোদীর সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের রাজ্যপালদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক। সাততাড়াতাড়ি ইস্তফা দেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল বি এল জোশী। এনডিএ সরকারের সমালোচনায় সরব হয় কংগ্রেস, তৃণমূল সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে সমালোচনা করে বামেরাও। বিতর্কের আঁচ বাড়ায় সরাসরি বরখাস্তের রাস্তায় না হেঁটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে দিয়ে রাজ্যপালদের ফোন করিয়ে পরোক্ষ চাপ তৈরির কৌশল নেয় মোদী সরকার। বিষয়টি সামনে আসার পরেই ইস্তফা না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থান নেন মহারাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের রাজ্যপালেরা। এই বিতর্কের মাঝেই পদত্যাগ করেন ছত্তিসগড়ের রাজ্যপাল শেখর দত্ এবং নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল অশ্বীনী কুমার। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের ইস্তফা ঘিরেও শুরু হয় জল্পনা। রাজ্যপালদের অপসারণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। রাজভবনে গিয়ে এম কে নারায়ণনের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যকালের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যপালকে ইস্তফা না দিয়ে অনুরোধ করেন তিনি। রাজ্যপালের সমর্থনে মুখ খোলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। কেন্দ্রর এই উদ্যোগকে নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই ইস্যুতে রাজ্যপালের পাশে দাঁড়ায় প্রদেশ কংগ্রেসও। তবে শেষ পর্যন্ত সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। ইতিমধ্যেই তিনি এবিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ইঙ্গিত দিয়েছেন বলেও খবর।

.