West Bengal Police: 'পুলিসে স্থায়ী নিয়োগ না হলে সমস্যা মিটবে না', রাজ্য সরকারকে বার্তা হাইকোর্টের
পুলিসে নিয়োগ নিয়ে সরব বিচারপতি মান্থা। কনস্টেবল, ASI নিয়োগ যতদিন বন্ধ থাকবে, ততদিন সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর নির্ভর করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক কর্মী দিয়েই আইন শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা হবে। পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যের আসল সমস্যা পুলিসে নিয়োগ না করা। এদিন রাজ্য সরকারকে এমনই বার্তা দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। স্থায়ী নিয়োগ না হওয়াতে পুলিসকে নির্ভর করতে হচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর। কনস্টেবল, ASI নিয়োগ যতদিন বন্ধ থাকবে ততদিন এদের দিয়েই কাজ চালাতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। এদিন মান্থা বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয়, আনিস খানের ঘটনাতেও দুজন সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। সরকার যতদিন নিয়োগ নিয়ে উদ্যোগী হবে না ততদিন পর্যন্ত এই চুক্তিভিত্তিক কর্মী দিয়েই আইন শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা হবে। সরশুনার এক ব্যক্তির নিখোঁজ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির মান্থার।
আরও পড়ুন, DA Movement: নবান্নর হেলদোল নেই, সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য এই পদক্ষপ নিল ডিএ আন্দোলনকারীরা
পুলিসে নিয়োগ নিয়ে সরব বিচারপতি মান্থা। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, চুক্তিভিত্তিক কর্মী দিয়েই আইন শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা হবে। সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে পুলিসের ঘাটতি মেটানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি মান্থা। তিনি এদিন বলেন, অনেক সময় দেখা যাচ্ছে পুলিসের ঘাতটি মেটাচ্ছে সিভিক পুলিস। ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে সরকারের উচিত চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ না করে স্থায়ী পুলিস নিয়োগ করা।
এই প্রসঙ্গেই জাস্টিস মান্থা বলেন, 'অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, পুলিসের ঘাটতি মেটাচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ার। তাই পুলিসে নিয়োগ না করলে এ ভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দিয়ে নিচু তলার আইনশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।’ এদিন উলুবেড়িয়ার আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গও উঠে আসে কলকাতা হাই কোর্টে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে বেহালার সরশুনা থানার বিরুদ্ধে। সেই যুবকের পরিবার তরফে অভিযোগ করা হয়, দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার ওই যুবককে তুলে নিয়ে যায়।
কিছুদিন আগেই, সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে নির্দেশিকা তৈরি করতে রাজ্য পুলিসের আইজিকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে নির্দেশিকা তৈরি করে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশ মেনেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে নতুন নির্দেশিকা তৈরি করা হয়। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়, কোনও আইন প্রয়োগ করতে পারবেন না সিভিক ভলান্টিয়াররা। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, পুজো, উৎসবের সময় ভিড় সামলাতে, বেআইনি পার্কিং রুখতে এবং মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিসকে সাহায্য করবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, Topsia Fire: তপসিয়ার কারখানায় ভয়ংকর আগুন, জীবন্ত দগ্ধ বাবা-ছেলে