West Bengal Foundation Day: রাজ্যর আপত্তি উড়িয়ে রাজভবনে পালন পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস
অন্যদিকে এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছে রাজ্য সরকার। তাদের তরফ থেকে রাজ্যপালকে অনুরোধ জানানো হয়। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের শাসক দলের মুখপত্র জাগোবাংলার সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করা হয়।
অয়ন ঘোষাল: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তি সত্ত্বেও মঙ্গলবার সকালে রাজভবনে অনুষ্ঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ভাষণ দেন রাজভবনের এই অনুষ্ঠানে।
ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, দেশের উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গের অত্যন্ত ইউনিক ভুমিকা আছে। ক্রীড়া সংস্কৃতি অর্থনীতিতে বাংলার অবদান অনস্বীকার্য। বিদ্যাসাগর রামমোহন নেতাজি কাজি নজরুল সত্যজিত রায় এর মতো মনীষী এই রাজ্য থেকে এসেছেন। আমি রাজ্যবাসীকে রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দেশের উন্নতিতে এভাবেই এগিয়ে চলুক পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যবাসী হাজার সমস্যার মধ্যেও যেভাবে এগিয়ে চলেছে আমি বিস্মিত। সাম্প্রদায়িক সদ্ভাব ও ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা করব। মানুষ যেভাবে আমাকে ভালোবাসা দিয়েছেন, আমি অভিভূত। হিংসায় জিরো টলারেন্স বজায় রাখতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতির সুযোগ রয়েছে। এ রাজ্য কৃষি ক্ষেত্রে গোটা দেশকে নানা সময়ে সাহায্য করেছে। আমাদের সবাইকে আমাদের মৌলিক কর্তব্য মনে রাখতে হবে। রাজ্যবাসী নিজেদের মধ্যে সম্প্রীতি ও সদ্ভাব বজায় রাখুক। যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। বিবেকানন্দের সেই বাণী মনে রাখতে হবে।
অন্যদিকে এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছে রাজ্য সরকার। তাদের তরফ থেকে রাজ্যপালকে অনুরোধ জানানো হয়। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের শাসক দলের মুখপত্র জাগোবাংলার সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে এই অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করা হয়।
আরও পড়ুন: Keshtopur Death: কেষ্টপুরে জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়, গ্রেফতার মামা গৌতম দে-র ৫ সহকর্মী
সেখানে লেখা হয়, ‘মুসলিম লিগের পাকিস্তানের দাবি ইংরেজ সরকার মানুক না মানুক, ধর্মের ভিত্তিতে বঙ্গভঙ্গের দাবি তোলেন শ্যামাপ্রসাদ। পাঞ্জাব ও বাংলার পরিস্থিতি এমন অগ্নিগর্ভ হয়ে পরে যে শেষ পর্যন্ত অন্যান্য দলও দেশভাগ মেনে নেয়। লক্ষ-কোটি বাঙালির হৃদয় ফুঁড়ে সেদিন জন্ম নেয় পশ্চিমবঙ্গ। এই দিনটি তাই কোনওমতেই আনন্দের বা গৌরবের দিন নয়’।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: 'সবাইকে তৃণমূল নাকে খত দিয়ে শেষে দলে নেবে’, তৃণমূলকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের
সেখানে আরও লেখা হয়, ‘সেদিন সেই ষড়যন্ত্রকে সার্থক করে তুলতে যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল তাদের উত্তরসূরিরাই আজ সেই ক্লেদাক্ত, মর্মন্তুদ রাজনৈতিক বিপর্জয়ের দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস ঘোষণা করে লক্ষ-কোটি নিপীড়িত, বাস্তুচ্যুত বাঙালিকে অপমান করেছে’।
এই প্রতিবেদনেই রাজ্যপালকে আক্রমণ করে বলা হয়েছে, ‘রাজভবনে এই দিনটি পালন করার অর্থ হল, মাউন্টব্যাটেনের অশরীরী আত্মা এখনকার ছোটলাটের ওপর ভর করেছে’।