Assembly Session: বিধানসভায় ভোটাভুটিতে ফের বিভ্রাট! অধিবেশনে তুমুল হট্টগোল
খোদ শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতিতে বিরোধী দলনেতার হয়ে ভোট দিলেন কে?
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভায় ভোটাভুটিতে ফের বিভ্রাট। খোদ শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতিতে বিরোধী দলনেতার হয়ে ভোট দিলেন কে? অধিবেশনে তুমুল হট্টগোল। অসাবধানতার জেরেই এই ঘটনা, জানালেন স্পিকার।
রাজ্যপাল নন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে এবার মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভার চলতি অধিবেশনের প্রথম দিনেই ভোটাভুটি বিল পাস গিয়েছে। এমনকী, বিলটি অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজভবনে। সেবারও কিন্তু ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ ছিল, বিধানসভা আচার্য বিলের বিপক্ষে ভোট দেন দলের ৫৭ জন বিধায়ক। অথচ গণনার শেষে বলা হয়, বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৪০টি! পরে বিধানসভা সূত্রে জানা যায়, এক কর্মী ভুলেই এই বিপত্তি। বিলের বিপক্ষে আসলে ভোট পড়েছে ৫৫টি।
আরও পড়ুন: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে CBI, সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ
সূত্রের খবর, এদিন বিধানসভায় ফের একটি বিল পেশ করা হয়। সেই বিলে উপাচার্যের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৭০ করার প্রস্তাব দেয় সরকার। বিজেপি তরফে ভোটাভুটি আবেদন জানানো হয়। স্রেফ আবেদন মঞ্জুর করা নয়, এবার কিন্তু সতর্ক ছিলেন স্পিকার। তিনি জানান, ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে ভোটাভুটি হবে। তারপর আবার বিধায়কদের মাথা গোনা হবে! কিন্তু তাতেও বিপত্তি এড়ানো যায়নি।
কেন? বিধানসভায় ফের ভোটাভুটি কারচুপির অভিযোগ করেন বিজেপির বিধায়করা। কারা কারা ভোট দিয়েছেন? ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের লিস্ট দেখে বিধায়কদের নাম ধরে ডাকতে শুরু করেন স্পিকার। তখনই দেখা যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর নামেও ভোট পড়েছে। অথচ তাঁরা কেউই অধিবেশনের হাজির ছিলেন না! কীভাবে এমনটা হল? স্পিকার জানিয়েছে, সম্ভবত কেউ অসাবধানতাবশত ওই দুই বিধায়কের সিটে বসে ভোটিং মেশিনের সুইচ টিপে দেন। শেষপর্যন্ত স্লিপে ভোটে নেওয়া হয় এবং সেই ফলাফলকেই চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করেন স্পিকার।