WB SSC: সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, সুপ্রিম রায়ে ২৪ ঘণ্টার স্বস্তি মানিকের
গতকালই সিবিআই জানিয়েছে ওএমআর শিটে এক হাজারের বেশি ট্যাম্পারিংয়ের হদিস তারা পেয়েছেন। আদালতে তারা বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে প্রায় ১৩ লাখ ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে ওইসব শিট নষ্ট করার ক্ষেত্রে কেন টেন্ডার ডাকা হয়নি
জ্য়োতির্ময় কর্মকার, কমলাক্ষ ভট্টাচার্য, বিক্রম দাস: দুপুরে ধাক্কা। বিকেলে কিছুটা স্বস্তি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। মঙ্গলবার সন্ধে আটটার মধ্য়ে মানিক ভট্টাচার্যকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। টেট-এর ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ওই নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এখানেই থেমে থাকেননি বিচারপতি। তিনি নির্দেশ দেন, তদন্ত সহযোগিতা না করলে মানিককে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে হবে। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশে একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁকে কিছুটা স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ, জেরা করলেও বুধবার পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই।
পড়ুন- বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামিকাল। ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলেই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাত্ ২৪ ঘণ্টার জন্য রক্ষাকবজ পেলেন মানিক।
এদিকে, বিকেলে মানিক ভট্টাচার্যের যাদবপুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল তাঁর ঘরে তালা দেওয়া। বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল সকাল সাড়ে আটটা থেকে বাড়িতেই নেই মানিক ভট্টাচার্য। তিনি কোথায় গিয়েছেন তা কেউ বলতে পারছেন না। ফোনেও তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না।
গতকালই সিবিআই জানিয়েছে ওএমআর শিটে এক হাজারের বেশি ট্যাম্পারিংয়ের হদিস তারা পেয়েছেন। আদালতে তারা বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে প্রায় ১৩ লাখ ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে ওইসব শিট নষ্ট করার ক্ষেত্রে কেন টেন্ডার ডাকা হয়নি। পাশাপাশি যখন ওএমআর শিট নষ্ট করা হচ্ছিল তখন কোনও সরকারি প্রতিনিধিকে রাখা হয়নি।
কেন মানিকের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ? টেট পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট নষ্ট করার জন্য একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন মানিক। যে সংস্থাকে দিকে পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছিল সেই সংস্থাকে নিয়োগের আগে কোনও টেন্ডার ডাকা হয়নি। পছন্দমতো সংস্থাটিকে বেছে নেওয়া হয়। শিট নষ্ট করার সময়ে কোনও সরকারি কোনও সাক্ষী রাখা হয়নি। ওইসব বিষয়কে সন্দেহজনক বলেই মনে করেছে আদালত। ওই কর্মকাণ্ডের মধ্যে কোনও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেই মনে করছে আদালত।