NCC Fund: এনসিসি-র টাকা আটকে দিয়েছে রাজ্য! বিরোধীদের তোপের মুখে পাল্টা চন্দ্রিমার
সুকান্ত মজুমদার টুইট করেন, পশ্চিমবঙ্গের যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যতের সঙ্গে খেলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতা সরকার এনসিসি ক্যাডেটদের বি ও সি সার্টিফিকেট পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে ফান্ড রিলিজে অস্বীকার করেছে
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: এনসিসিকে টাকা দিতে চাইছে না রাজ্য? এমনই এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন এনসিসির কমান্ডিং অফিসার। এই মর্মে এনসিসি-র ডিডিকে চিঠিও দিয়েছেন এনসিসি-র মেজর জেনারেল ইউ সেনগুপ্ত। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ফান্ডের অভাবে রাজ্যে এনসিসি প্রশিক্ষণ স্থগিত রাখার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওই অভিযোগের পরই তোলপাড় শুরু করেছে বিরোধী শিবির। এনিয়ে পাল্টা বিরোধীদের নিশানা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এনসিসিকে ফান্ড দেওয়া নিয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তার সারবত্তা নেই। কোথায় ওরা ফান্ড দিয়েছে সেটা আগে ওরা দেখুক। গত ২১ অক্টোবরও আমরা ২০ লাখ টাকা দিয়েছি। পরবর্তীতে আরও টাকা দেওয়া হবে। যেমন যেমন খরচের তথ্য আমাদের কাছে আসবে সেই অনুয়ায়ী ফান্ড দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- আমাদের হাতে একটাও বিধায়ক নেই, সরকার ফেলে দেব, এত ভয় তৃণমূলের!
এনসিসির অভিযোগকে হাতিয়ার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, এটা একটা দেউলিয়া সরকার। এনসিসির ফান্ড কেন, অনেক কিছুই বন্ধ। ঝড় আসার কথা ছিল। সিভিল ডিফেন্সের ছেলেদের কাজ করতে বলা হয়েছে। ওদের ৬ মাস মাইনে হয়নি। কোন লোকটা কী পাচ্ছে বলুন তো! এরা কিছুদিনের মধ্যে কর্মচারীদের বেতনও দিতে পারবে না।
অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার টুইট করেন, পশ্চিমবঙ্গের যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যতের সঙ্গে খেলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতা সরকার এনসিসি ক্যাডেটদের বি ও সি সার্টিফিকেট পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে ফান্ড রিলিজে অস্বীকার করেছে। যেখানে তাঁর ফান্ডের কোনও অভাব নেই। আসলে রাজ্যের যুবদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর কোনও মাথাব্যথা বা চিন্তাভাবনা-ই নেই।
কী অভিযোগ এনসিসি-র? এনসিসি-র মেজর জেনারেল ইউ সেনগুপ্ত ফান্ড বন্ধ নিয়ে চিঠিতে লেখেন, বাংলায় ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস সমস্যার মধ্যে পড়েছে। রাজ্য সরকার বরাদ্দ অর্থ দেয়নি। এটা একটা খুব গুরুতর সমস্যা। এনসিসি ক্যাডেট যারা বি ও সি সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য পরীক্ষায় বসবে, তাদের মধ্যে যারা ভালো স্কোর করবে, সেটা তাদের ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসেবে যোগদানে সুবিধা দেবে। বি ও সি সার্টিফিকেট পরীক্ষায় যারা হাই স্কোর করবে এবং যারা ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্নাতক হবে, তাদের আর সিডিএস পরীক্ষায় বসার প্রয়োজনীয়তা নেই। তারা সরাসরি সার্ভিস সিলেকশন বোর্ড বা এসএসবি-র ইন্টারভিউতে বসতে পারবে। এটা একটা বিরাট বড় সুবিধা। কিন্তু এখন রাজ্য সরকার ফান্ড বন্ধ করে দিলে বাংলায় এনসিসি প্রশিক্ষণ নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, নবান্ন সূত্রে খবর, ফান্ড বন্ধের খবর ভিত্তিহীন বলে জানানো হয়েছে। ফান্ড বন্ধের কোনও ব্যাপারই নেই, এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনকি ২১ অক্টোবর ফান্ড রিলিজ করা হয়েছে।