বাম-কংগ্রেস ভোট সমঝোতার পথে বাধা শরিক দলগুলি
বাম-কংগ্রেস ভোট সমঝোতার পথে বাধা হতে পারে ফ্রন্টের অন্যান্য শরিক দলগুলো। এমনই আশঙ্কা আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের। সেই বাধা কিভাবে কাটানো যায়, সেই কৌশলও ভাবতে শুরু করেছে সিপিএমের শীর্ষ নেতারা। কারণ, আর যাই হোক ভোটের আগে ফ্রন্টে ফাটল চায় না আলিমুদ্দিন।
ওয়েব ডেস্ক: বাম-কংগ্রেস ভোট সমঝোতার পথে বাধা হতে পারে ফ্রন্টের অন্যান্য শরিক দলগুলো। এমনই আশঙ্কা আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের। সেই বাধা কিভাবে কাটানো যায়, সেই কৌশলও ভাবতে শুরু করেছে সিপিএমের শীর্ষ নেতারা। কারণ, আর যাই হোক ভোটের আগে ফ্রন্টে ফাটল চায় না আলিমুদ্দিন।
বাংলা থেকে তৃণমূলকে হঠানোই টার্গেট। তার জন্য কংগ্রেসের হাত ধরার দাবি ক্রমশই সিপিএমের নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে জোরালো হচ্ছিল। তাই সমঝোতার প্রশ্নে যারা এক সময় আপত্তি জানিয়েছেন, সেই সিপিএম নেতারাও এখন সুর বদলাচ্ছেন। বলছেন, ভোট কৌশল ঠিক করার সময় সব পথ নিয়েই আলোচনা হবে। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। ফ্রন্টের দুই শরিক, সিপিআই এবং ফরোয়ার্ড ব্লক কোনওভাবেই কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা চায় না। ফ্রন্টের ভেতরে-বাইরে তারা বহুবার তাদের আপত্তি জানিয়েছে। আর এতেই চিন্তায় আলিমুদ্দিন। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য বলছেন, বাম ঐক্য অটুট রেখেই কৌশল ঠিক করা হবে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি সিপিআই বা ফরোয়ার্ড ব্লক রাজি না হয়, তাহলে কী হবে? সিপিএম কি কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তা থেকে সরে আসবে? পুরনো অভিজ্ঞতা বলছে, বন্ধুত্বমূলক দূরত্ব বজায় রেখেও ভোটে যেতে পারে বাম শরিকরা। যেমনটা হয়েছিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার ইস্যুতে। সেসময় প্রণববাবুর পক্ষে ভোট দিয়েছিল সিপিএম এবং আরএসপি। বিপক্ষে ভোট দেয় সিপিআই এবং ফরোয়ার্ড ব্লক।