বিধানসভা ভোটে কমিশনের কড়া দাওয়াই কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন

কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরবন্দি ভোট। কড়া দাওয়াই দিতে তৈরি কমিশনও। কিন্তু গত লোকসভা ভোটের কথা মনে পড়লেই দানা বাঁধছে সংশয়। কমিশনের এত গর্জনের পর বর্ষণ আদৌ হবে তো? নাকি আবার সেই কেয়ারফ্রি ভোটই দেখবে বাংলা?

Updated By: Dec 11, 2015, 08:59 PM IST
বিধানসভা ভোটে কমিশনের কড়া দাওয়াই কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন

ওয়েব ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরবন্দি ভোট। কড়া দাওয়াই দিতে তৈরি কমিশনও। কিন্তু গত লোকসভা ভোটের কথা মনে পড়লেই দানা বাঁধছে সংশয়। কমিশনের এত গর্জনের পর বর্ষণ আদৌ হবে তো? নাকি আবার সেই কেয়ারফ্রি ভোটই দেখবে বাংলা?

বছর ঘুরতেই বাংলায় ভোট। বৃহস্পতিবার তারই দামামা বাজিয়ে গেল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। শাসককে টার্গেট করে বিরোধীরা সোচ্চার। এক নজরে দেখে নিন কমিশনের কড়া দাওয়াইগুলিকে,

কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই ভোট হবে।
ভোটারদের সুরক্ষায় থাকবে ত্রিস্তর নিরাপত্তাবলয়।
প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতেই হবে।
ভোটাররা ভোটদানে বাধা পেলে দায় জেলাশাসকের।

প্রশ্ন উঠছে, কমিশন বলছে বটে। করবে তো? লোকসভা ভোট, ২০১৪। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বাংলায় সেবারও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরবন্দি ছিল ভোট। কিন্তু হিংসা আর অনিয়ম ঠেকানো যায়নি।
আসানসোল থেকে বীরভূম, মঙ্গলকোট থেকে উত্তর ২৪ পরগনা দফায় দফায় গুলি,বোমার অ্যাকশন। বুথে ঢুকে অশান্তি থেকে শুরু করে মারধর, ভাঙচুর কিছুই বাদ যায়নি। কিন্তু কোথায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী? আসুন দেখা যাক। দিকে দিকে  গোলমাল তুঙ্গে। আর ঠিক তখনই সেন্ট্রাল ফোর্সের জওয়ানরা কেউ ব্যস্ত আড্ডায়। কারও সময় কেটেছে কাগজ পড়ে। আবার কেউ বিছানায় বিন্দাস ।

কমিশনের থোড়াই কেয়ার, প্রশাসন তাদের কাজেই লাগায়নি। বছর ঘুরতেই অন্য ছবি। বিহারে কিন্তু সেই নির্বাচন কমিশনের নজরদারিতেই হিংসা উধাও। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারায় ট্যা ফোঁও করতে পারেনি কেউ।

.