পশ্চিমবঙ্গের ঘরে ঘরে 'জীবন" পৌঁছে দিচ্ছে সরকার
'ভিশন ২০২০'। ঘরে ঘরে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরাকারের একটি উদ্যোগ। ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে 'ভিশন ২০২০'এর মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পানীয় জলকে মানুষের হাতের নাগালে এনে দিতে গত চার বছরে বসানো হয়েছে ১৮ হাজার ৭৬৯ টি হ্যান্ড পাম্প টিউবওয়েল।
ওয়েব ডেস্ক: 'ভিশন ২০২০'। ঘরে ঘরে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের একটি উদ্যোগ। ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে 'ভিশন ২০২০'এর মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পানীয় জলকে মানুষের হাতের নাগালে এনে দিতে গত চার বছরে বসানো হয়েছে ১৮ হাজার ৭৬৯ টি হ্যান্ড পাম্প টিউবওয়েল।
পশ্চিমবঙ্গের বহু এলাকা আর্সেনিক প্রভাবিত যা জনজীবনের জন্য খুব ক্ষতিকারক। সরকারের উদ্যোগে এইসব এলাকার ৯১.৫ শতাংশ আর্সেনিক মুক্ত। শুধু ঘরে ঘরেই নয়, ১০ হাজার ৪১৯ টি স্কুল ও অঙ্গনওয়ারিতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। 'জিকা, জাপান'-এর সযোগিতায় পুরুলিয়ার বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হবে পাইপড ওয়াটার যা থেক উপকৃত হবে ২৯.১০ লক্ষ মানুষ। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলাকে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল দিতে সরকার নিয়েছে 'ফলতা-মথুরাপু্র পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম'। এই প্রকল্পের আনুমানিক খরচ ১৩৩২.৪২কোটি টাকা।
পড়ুন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি বড় সাফল্যের নাম কন্যাশ্রী
জঙ্গল মহলের মানুষদের জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। নেওয়া হয়েছে ৫০টি পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম। এর মধ্যে ৪৮টির অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে সরকার। এছাড়াও জঙ্গল মহলে ৭০৪টি সৌর বিদ্যুৎ চালিত ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেম বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে শুরু করা হয়েছে 'প্রাণধারা' প্যাকেজড ড্রিঙ্কিং ওয়াটারের উতপাদন। সরকারের শুধু জলের যোগানের দিকই নজর রাখছে তা নয়, বিশেষ নজর দিচ্ছে জলের মানের দিকেও। ১২০টি পরীক্ষাগারে চলছে জলের মান পরীক্ষা। সব মিলিয়ে মানুষের কাছে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রয়াসে কার্যত সফল।