কলকাতায় একাত্তরের যুদ্ধে PNS Gazi ধ্বংসের কারিগররা, এল Victory Flame

গাজি ধ্বংসের কথা মনে করতেই একশো ছুঁইছুঁই ভাইস অ্যাডমিরাল শর্মার মুখে খেলে ওঠে মৃদু হাসি

Updated By: Mar 17, 2021, 09:35 PM IST
কলকাতায় একাত্তরের যুদ্ধে PNS Gazi ধ্বংসের কারিগররা, এল Victory Flame
ভাইস অ্যাডমিরাল এসএইচ শর্মা(বাঁ দিকে)

নিজস্ব প্রতিবেদন:১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ জয় এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ)কে স্বাধীনতা অর্জনে সহযোগিতার সুবর্ণ জয়ন্তী এ বছরেই। আর তাই, গোটা বছর জুড়ে বিজয় বর্ষ উদযাপন করছে ভারত সরকার। জয়ের সেই আগুন “ভিক্টরি ফ্লেম” রূপ নিয়ে ঘুরছে ভারতজুড়ে।
 
বুধবার, তা এসেছে কলকাতায় ভারতীয় নৌবাহিনীর সদর দপ্তর আইএনএস নেতাজি সুভাষে। আর সে উপলক্ষেই কলকাতায় হাজির দুই যুদ্ধজাহাজ- ল্যান্ডিং শিপ ট্যাঙ্ক, আইএনএস ঐরাবত এবং করভেট আইএনএস কোরা।

আরও পড়ুন-TMC Manifesto: ভোট নষ্ট করবেন না, TMC-কে দিন, 'বাম বন্ধু'দের বার্তা Mamata-র
 
শুধু তাই নয়, ৭১-এর যুদ্ধে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করা প্রাক্তণ সেনানিরাও হাজির ছিলেন ভিক্টরি ফ্লেমের ওম পোহাতে। যে তালিকায় আছেন, ৭১-এর যুদ্ধে ইস্টার্ণ ফ্লিটের দায়িত্ব সামলানো ভাইস অ্যাডমিরাল এসএইচ শর্মাও। হাঁটার শক্তি নেই, তবু এখনও ভোলেননি ৭১’-এর পয়লা ডিসেম্বর নিজের জন্মদিনের দিন আসা ফোনটা। বলেন,“তৎক্ষণাৎ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাই। নিজের সব ফ্লিট (যুদ্ধজাহাজ) সঙ্গে নিয়ে রওয়ানা দিই শত্রুপক্ষের দিকে।

ঘটনাচক্রে ৭১-এর যুদ্ধে শুধু তিনি একাই নন, তাঁর বড় ছেলে লেফ্ট্যন্যান্ট কমান্ডার দিনবন্ধু শর্মাও বাবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েন ৭১-এর যুদ্ধে। তিনি অবশ্য ছিলেন আইএনএস রাজপুত যুদ্ধ জাহাজের নেভিগেটিং অফিসার। ৭১-এর যুদ্ধে পিএনএস গাজিকে ধ্বংস করার কৃতিত্ব বহন করছে এই আইএনএস রাজপুতই।

আরও পড়ুন-একুশের ভোটের নজরে OBC, ২১ মার্চ ইশতাহার প্রকাশ BJP-র

গাজি ধ্বংসের কথা মনে করতেই একশো ছুঁইছুঁই ভাইস অ্যাডমিরাল শর্মার মুখে খেলে ওঠে মৃদু হাসি। বলেন, “ওরা আইএনএস ভিক্রান্তকে ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়ে এসেছিল। ওরা ঘোষণাও করে দিয়েছিল, আইএনএস ভিক্রান্তকে নাকি ধ্বংস করেছে ওরা। পরে আমরা সব ডিপ্লোম্যাটসদের ডেকে এনে আসল সত্যিটা দেখাই। আমার ইস্টার্ণ থিয়েটারেই অবশ্য গাজি ধ্বংস হয়েছিল। এবং আমার আনন্দের বিষয় হল শুধু আমার কমান্ডের অধীনেই সেটা হয়নি, যে জাহাজ গাজিকে ধ্বংস করেছিল তাঁর নেভিগেশনটাও সামলেছিল আমার ছেলেই।”

.