রাজ্যের স্কুল-কলেজে 'লভ জিহাদে'র বিরুদ্ধে প্রচারে নামছে ভিএইচপি-বজরং

 ''বাংলায় ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করছে সঙ্ঘ পরিবারের সংগঠনগুলি। তাদের এই কৌশল সফল হতে দেব না'', বললেন ফিরহাদ হাকিম।

Updated By: Sep 6, 2018, 09:45 PM IST
রাজ্যের স্কুল-কলেজে 'লভ জিহাদে'র বিরুদ্ধে প্রচারে নামছে ভিএইচপি-বজরং

নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর ভারতের পর পশ্চিমবঙ্গেও 'লভ জিহাদ' নিয়ে তীব্র মেরুকরণ তৈরির লক্ষ্যে রাস্তায় নামছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। মঙ্গলবার তারা ঘোষণা করেছে, রাজ্যের স্কুল ও কলেজে 'লভ জিহাদে'র মোকাবিলায় প্রচার চালাবে বজরং দল ও দুর্গাবাহিনী। ঘরে ঘরে গিয়ে সচেতনতা বাড়ানো হবে।     

ভিএইচপির মুখপাত্র সৌরিশ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ''লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার করব আমরা। গোটা রাজ্যজুড়ে চলবে প্রচার অভিযান। লভ জিহাদের বিপদ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হবে। ভালবাসার নামে হিন্দু বোনেদের টার্গেট করা হচ্ছে। সেটাই তুলে ধরব আমরা। বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে লিফলেটও বিলি করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলবে জোর প্রচার''। 

পূর্ব ভারতে ভিএইচপি-র সাংগঠনিক সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিনহার কথায়, ''পশ্চিমবঙ্গে এই ইস্যুতে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি আমরা। বাংলায় লভ জিহাদ বড় সমস্যার আকার ধারণ করেছে। লভ জিহাদের মোকাবিলায় কী কী করতে হবে, তা নিয়ে হিন্দু মা-বাবাদের পরামর্শ দেব আমরা। যেক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই লভ জিহাদ হয়ে গিয়েছে, সেক্ষেতচ্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেব। পুলিসের সহযোগিতায় হিন্দু মেয়েটিকে উদ্ধার করবে ভিএইচপি ও বজরং দল। পাত্রকে ধর্মবদলেও চাপ দেওয়া হবে''। 

আরও এক কদম এগিয়ে সৌরিশ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁদের কাছে লভ জিহাদের শিকার মেয়েদের তালিকা রয়েছে। ওই তরুণীদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের অভিভাবকদের বোঝানো হবে। সৌরিশবাবুর কথায়, ''আমরা ভালবাসার বিরুদ্ধে নই, কিন্তু পরিকল্পিতভাবে হিন্দু মেয়েদের ধর্মবদলের বিরোধিতা করছি''।  

ভিএইচপি-র এই কর্মসূচি থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে বিজেপি। এব্যাপারে তাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে তৃণমূল নেতা তথা নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ''বাংলায় ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করছে সঙ্ঘ পরিবারের সংগঠনগুলি। তাদের এই কৌশল সফল হতে দেব না''।     

রাজ্য সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এরাজ্যে সঙ্ঘ পরিবারকে পরিসর দেওয়ার অভিযোগ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ''ভিএইচপি-আরএসএসের সঙ্গে নরম অবস্থান নিচ্ছে তৃণমূল। এই ধরনের সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করুক রাজ্য সরকার''।

রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৯ সালের ভোটের আগে 'লভ জিহাদ'কে হাতিয়ার করে রাজ্যে মেরুকরণ আরও পোক্ত করতে আসরে নামছে সঙ্ঘ পরিবার। সরাসরি সমর্থন না দিলেও ভিএইচপি-র এই কর্মসূচির ফায়দা তুলবে বিজেপিই।     

আরও পড়ুন- পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার ভারত বনধের ডাক দিল কংগ্রেস

.