শিক্ষারত্ন অনুষ্ঠানে সরকারি বন্দনায় মাতলেন দুই উপাচার্য, নিন্দায় শিক্ষক সমাজ, দোষ দেখছেন না শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষারত্ন অনুষ্ঠানে দরাজ গলায় সরকার বন্দনা। দুই উপাচার্যের আচরণে নিন্দার ঝড় উঠেছে শিক্ষক সমাজে। যদিও শিক্ষামন্ত্রী তাতে আমল দিতে নারাজ। তাঁর প্রশ্ন, এতে দোষের কী আছে?
ব্যুরো: শিক্ষারত্ন অনুষ্ঠানে দরাজ গলায় সরকার বন্দনা। দুই উপাচার্যের আচরণে নিন্দার ঝড় উঠেছে শিক্ষক সমাজে। যদিও শিক্ষামন্ত্রী তাতে আমল দিতে নারাজ। তাঁর প্রশ্ন, এতে দোষের কী আছে?
অনুরাধা লোহিয়া, সুগত মারজিত। শিক্ষাপদ্ধতি নিয়ে শব্দখরচ নেই। ভবিষ্যতের দিশা নির্দেশ নেই। শুধুই সরকার বন্দনা।
যা বাস্তব তাই বলেছেন। মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
এখানেই থামলেন না শিক্ষামন্ত্রী। বললেন, বলার স্বাধিকার রয়েছে উপাচার্যের।
কী আশ্চর্য? এই শিক্ষামন্ত্রীই একসময় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারের কথা মানতে চাননি। যুক্তি দিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় চলে সরকারের টাকায়। তাই হস্তক্ষেপের অধিকার রয়েছে সরকারের। কিন্তু, সরকার বন্দনায় উপাচার্যদের স্বাধিকার নিয়ে সরব তিনি। আইন বিশেষজ্ঞরা অবশ্য তুলছেন অন্য প্রশ্ন।
শিক্ষামন্ত্রীর যুক্তিকে মান্যতা দিচ্ছে না শিক্ষকদের একাংশ।
প্রশ্ন উঠছে, সরকারের সামনে এভাবেই যদি বারবার নতজানু হন উপাচার্যরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার কি প্রহসনে পরিণত হবে না?