যাদবপুর কাণ্ড: নিগৃহীতা ছাত্রীর অভিযোগে গুরুত্ব দেননি উপাচার্য, বলছে তদন্ত কমটির রিপোর্ট
যাদবপুর কাণ্ডে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্ট বলছে, ঘটনার পর নিগৃহীতা ছাত্রী অভিযোগ জানাতে গেলে গুরুত্ব দেননি উপাচার্য অভিজিত্ চক্রবর্তী। যদিও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে এখনও সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। গতকালই এই রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। তদন্ত করতে গিয়ে কমিটির সদস্যরা দুজন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলেছেন। ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় মূল দুই অভিযুক্তকে ডাকা হয়েছিল। তার মধ্যে একজন বহিরাগত এবং অন্যজন বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। তবে, ওই দুই অভিযুক্ত সাক্ষ্য দিতে আসেননি। যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করার পর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়া হয় সরকারের তরফে। কমিটির চেয়ারম্যান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সুরঞ্জন দাস নিগৃহীতা ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। কথা বলেন উপাচার্য অভিজিত্ চক্রবর্তীর সঙ্গেও। তারপরেই রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি।
যাদবপুর কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত পুলিসের পাশেই থাকল রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর কাছে যে ফুটেজ এসেছে পৌছেছে তা দেখে স্পষ্ট পুলিস কোনও অন্যায় করেনি। অবিলম্বে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। আজ রাজ্যপালের সঙ্গেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি আজও থমথমে। রেজিস্ট্রার অফিসে পৌছলেও, উপাচার্য এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। এদিকে, অরবিন্দ ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি থেকে তাঁরা যে সরছেন না, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের তরফে। এদিকে, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চার নম্বর গেটের কাছে যেসব পোস্টার পড়েছিল, সেগুলি আজ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রতিটি গেটে বসেছে পুলিস পিকেট। সন্দেহ হলে ছাত্রছাত্রীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে।