Jadavpur University: মানা হয়নি অ্যান্টি র্যাগিং নিয়মাবলি! যাদবপুরের কাছে কৈফিয়ত তলব ইউজিসি-র
'পাস করার পরেও ছাত্ররা হস্টেলে থাকে, জানত কর্তৃপক্ষ। 'সব জানার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ'। ১৫ দিনের মধ্যে কৈফিয়ত দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: অ্যান্টি র্যাগিং নিয়মাবলি মানা হয়নি! কেন? যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এবার কৈফিয়ত তলব করল ইউজিসি। সময়সীমা ১৫ দিন। শুধু তাই নয়, যে ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি, সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা, তাও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হল। সূত্রের খবর তেমনই।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: 'দিল্লি চলো'র আগে বৃহস্পতি বা শুক্রতে ভার্চুয়াল বার্তা অভিষেকের!
ইউজিসির নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি থাকা বাধ্যতামূলক। তাহলে যাদবপুরই-বা কেন বাদ যাবে? প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর সরব হয় জি ২৪ ঘণ্টা। সেই কাজ শুরু হল অবশেষে। কবে? শনিবার থেকে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বসছে ২৬ ক্যামেরা। সঙ্গে ইন্ডোরে আরও ৩টি! এরমাঝেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠাল ইউজিসি।
কেন? সূত্রের খবর, ২০০৯ সাল থেকে ইউজিসি অ্য়ান্টি র্যাগিং নিয়মাবলি মানা হয়নি যাদবপুরে বিশ্ববিদ্য়ালয়ে। ৯ ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউজিসির চিঠিতে নিশানায় হস্টেল সুপারও!
যাদবপুরের কাছে কৈফিয়ত তলব ইউজিসি-র
--------------
'হস্টেল সুপাররা দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না'।
'পড়ুয়াদের উপর হস্টেল সুপারদের কর্তৃত্ব ছিল না'।
'পাস করার পরেও ছাত্ররা হস্টেলে থাকে, জানত কর্তৃপক্ষ'।
'সব জানার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ'।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, 'আমি তো এসে যখন দেখলাম, অ্যান্টি র্যাগিং নিয়মগুলি কিছুই মানা নেই, তখনই শুরু করলাম। সিসিটিভি বসানোর ও অন্যন্য় কাজগুলি যখন শুরু করেছিলাম, নানারকম বাধা সম্মুখীন হয় এবং শেষপর্যন্ত তখন আমাকে এটা জোর করে কার্যকর করতে হয় এবং বুঝতেই পারছেন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং যাদবপুরের যেটা চিরন্তন সমস্যা, উপাচার্যকে ঘেরা ইত্যাদি ইত্যাদি করে শেষপর্যন্ত সেই আন্দোলনের জেরে আমি চলে গেলাম। নতুন করে কিছু বলার নেই। আমি শুরু করেছিলাম, কিন্তু শেষ করতে পারেনি'।
জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের মতে, 'ইউজিসি-র যে অ্য়ান্টি র্যাগিং নিয়মাবলী আছে, সেটা মানা উচিত। আমরা বারে বারে বলেছি, বিশ্ববিদ্যায় কর্তৃপক্ষ বলতে যা বোঝায়, সেই অবস্থাটা নেই। কারণ, কর্মসমিতি, কোর্ট, ফ্যাক্লাটি কাউন্সিল কোনও জায়গাতেই নির্বাচিত প্রতিনিধি, বিশেষত শিক্ষকদের, সেগুলি নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়মগুলি মানার ক্ষেত্রে ফাঁক রয়ে গিয়েছে। এখনও গড়মিস করছে'।