মমতাকে খুশি করতে পারলাম না, খোঁচা দিলীপের
ত্রিপুরার জনাদেশ স্পষ্ট হওয়ার পরই সেলিব্রেশন রাজ্য বিজেপির।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরায় বিজেপির সরকার গড়ার আভাস স্পষ্ট হতেই কলকাতায় উত্সব শুরু হল কলকাতার বিজেপি কার্যালয়ে। হোলির পরে দিন আরও একবার রং খেললেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। দেখা গেল মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ হাত মেলানোর ছবিও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের খোঁচা,''সিপিএমকে জেতাতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওনাকে আমরা খুশি করতে পারলাম না।'' পাল্টা তৃণমূলের মহাসচিবের খোঁচা, এখানে কোনও লাভ হবে না বিজেপির।
শনিবার বেলা গড়াতেই উত্সবমুখর রাজ্য বিজেপির সদর দফতর। বেলা বাড়তেই স্পষ্ট হতে থাকে, ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ফুটতে চলেছে পদ্ম। তারপরই রাস্তায় নেমে গেরুয়া আবির খেলতে শুরু করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। সেখানে হাজির ছিলেন মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষও। একে অপরকে মিষ্টিমুখও করান তাঁরা।
আরও পড়ুন- আমি অবিবাহিত বলে কি স্তনপান করানোর ছবি তুলতে পারব না?পাল্টা জোসেফের
একসময়ে ত্রিপুরায় তৃণমূলের কম্যান্ডার ছিলেন মুকুল রায়। ত্রিপুরায় বিশাল জনসভা করে চমকও দিয়েছিলেন মমতা। সে সব আজ অতীত। মুকুল রায়ের কথায়,''ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান হল। এবার বাংলায় তৃণমূল সরকারের পতন হবে।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তিনি বলেন, 'যে বামেদের বিরুদ্ধে উনি লড়াই করেছিলেন, ত্রিপুরায় তাদের ক্ষমতায় দেখতে চেয়েছিলেন।''
আরও পড়ুন- 'লাল'গড়ে মোদী ঝড়ে ভেঙে চুরমার ২৫ বছরের বামদুর্গ
দিলীপ ঘোষের খোঁচা, 'আমরা দিদিকে খুশি করতে পারলাম না। উনি চেয়েছিলেন সিপিএম জিতুক। আব তেরা ক্যায় হোগা কালিয়া!'' ত্রিপুরার ভোট কি বঙ্গ প্রভাব ফেলতে পারবে? বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, গুজরাট থেকে ত্রিপুরা পর্যন্ত পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এবার বাংলায় হবে। সাম্প্রতিক কয়েকটি নির্বাচনে আমরা দ্বিতীয় হয়েছি। পুরসভার ভোটে হিংসা ছড়িয়েও আমাদের আটকাতে পারেনি। পঞ্চায়েত থেকেই বাংলায় পরিবর্তন শুরু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- কংগ্রেসের ভোটে থাবা বসিয়ে ত্রিপুরায় বিজেপির উত্থান
দিলীপ-মুকুলের উল্লাসকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,''অনেকেই খোল করতাল নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন। এরাজ্যে তাঁদের স্বপ্ন সফল হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের সুফল পাচ্ছেন মানুষ। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হই আমরা। ওনারাই বলেছেন, শ্মশান পর্যন্ত যাবেন। খোল করতাল নিয়ে সেখানেই যেতে হবে।''
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় নোটার চেয়েও কম ভোট পেল তৃণমূল