পুরভবনের প্রবেশ প্রথে ফ্রেম বন্দী ভালবাসার শহরের সোনালী অতীত

কলকাতা পুরসভায় এবার টাইম মেশিনে সওয়ার হওয়ার হাতছানি। সাবেক কলকাতা থেকে শুরু করে হালফিলের মহানগরী, একই ফ্রেমে বাঁধা পড়ে স্বাগত জানাবে আপনাকে। লেখা আর ছবির যুগলবন্দিতে বরণীয় মনীষী আর স্মরণীয় ঘটনা মিলেমিশে একাকার। পুরভবনের প্রবেশপথে ফটো গ্যালারির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল আজ। পরপর ফ্রেমে বন্দি সেকাল-একাল। গ্যালারির এমাথা-ওমাথা চষে বেড়িয়ে এ যেন অতীতকেই ফিরে দেখা।

Updated By: Aug 15, 2014, 07:29 PM IST
পুরভবনের প্রবেশ প্রথে ফ্রেম বন্দী ভালবাসার শহরের সোনালী অতীত

কলকাতা: কলকাতা পুরসভায় এবার টাইম মেশিনে সওয়ার হওয়ার হাতছানি। সাবেক কলকাতা থেকে শুরু করে হালফিলের মহানগরী, একই ফ্রেমে বাঁধা পড়ে স্বাগত জানাবে আপনাকে। লেখা আর ছবির যুগলবন্দিতে বরণীয় মনীষী আর স্মরণীয় ঘটনা মিলেমিশে একাকার। পুরভবনের প্রবেশপথে ফটো গ্যালারির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল আজ। পরপর ফ্রেমে বন্দি সেকাল-একাল। গ্যালারির এমাথা-ওমাথা চষে বেড়িয়ে এ যেন অতীতকেই ফিরে দেখা।

সে আর এক স্বাধীনতা দিবসের কাহিনী। আজ থেকে তিরাশি বছর আগে কলকাতার কেন্দ্রীয়  পুরভবনে সেদিন জাতীয় পতাকা তুলেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তিনিই তখন কলকাতার মেয়র। ঘোর ব্রিটিশ শাসনের মাঝেই তখন  ছাব্বিশে জানুয়ারি প্রতীকী স্বাধীনতা দিবস পালনের ডাক দেয় কংগ্রেস। প্রস্তাবিত  জাতীয় পতাকার রঙ ঠিক হয় সাদা, সবুজ আর লালের মিশেলে। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই  স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান কলকাতা পুরসভার সদর দফতরে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় নেতাজির উদ্যোগে। পতাকা উত্তোলনের পর আইন অমান্য করতে গিয়ে সেদিন ব্রিটিশপুলিসের হাতে মারও খান নেতাজি। কংগ্রেসের সেই ডাকের সূত্র ধরেই এখন ছাব্বিশে জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস।

ফাটকা নয় আদৌ। লটারিই ছিল সেকালে উন্নয়নের সোপান। কলকাতার টাউন হল গড়ার  মতো আরও একাধিক  কর্মকাণ্ডে লটারির মাধ্যমেই টাকা তোলা হয়েছিল। নথি বলছে,সেইসব লটারির টিকিটের ক্রেতা ছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুরের মতো বহু রথী-মহারথী। লাহোরের জেলে তেষট্টি দিন অনশনের পর প্রয়াত বিপ্লবী যতীন দাসের দেহ নিয়ে কলকাতায় হয়েছিল মহামিছিল। ছবি সাক্ষী, যতীন দাসের মৃত্যু পুরসভায় নথিভুক্ত করেছিলেন নেতাজি স্বয়ং। মিউনিসিপ্যাল গেজেটের প্রশংসায় মুখর কবিগুরুর চিঠি আছে। আবার স্বশাসন বিরোধী ম্যাকেঞ্জি বিলের প্রতিবাদে আঠাশ জন পুর-কমিশনারের ইস্তফার নথিও ঠাঁই পেয়েছে গ্যালারিতে।

সেকালের ধর্মতলার ঝলক গ্যালারিজুড়ে। এপর্যন্ত সব মেয়র মুখোমুখি। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের উদ্বোধনও ধরা পড়েছে লেন্সে।

এক মঞ্চে না-ই বা দেখা গেল। পুরসভার গ্যালারিতে কিন্তু একই ফ্রেমে বাঁধা পড়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন পুরভবনে আসা  মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। আর একজন রেলমন্ত্রী হিসেবে। তৈরি হচ্ছে পুরসভার আর্কাইভও। এই গ্যালারি থেকে কলকাতা পুরসভার ঐতিহ্যের আভাসটুকু পাক শহরবাসী, চান মেয়র।

 

 

.