পাঁচ কোটি টাকা তৃণমূলের তহবিলে ঢুকেছে ত্রিনেত্র কলসালটেন্ট থেকে

  কালো টাকা সাদা করার জন্যই খোলা হয়েছিল ত্রিনেত্র কন্সালটান্ট। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই অনুমান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।

Updated By: Mar 12, 2015, 08:44 AM IST
পাঁচ কোটি টাকা তৃণমূলের তহবিলে ঢুকেছে ত্রিনেত্র কলসালটেন্ট থেকে

 

ওয়েব ডেস্ক:  কালো টাকা সাদা করার জন্যই খোলা হয়েছিল ত্রিনেত্র কন্সালটান্ট। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই অনুমান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।আর এই ভূয়ো সংস্থার হাত ঘুরেই  কয়েককোটি টাকা ঢুকেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী তহবিলে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ইডির সদর দফতর ত্রিনেত্রের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

১কোটি ৪০ লক্ষ নয়। প্রায় পাঁচ কোটি টাকা তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী তহবিলে ঢুকেছে ত্রিনেত্র কলসালটেন্টের অ্যাকাউন্ট থেকে।  গত দুবছরের ব্যালান্স শিট থেকে এমনই তথ্য হাতে এসেছে ইডির। এই সেই সংস্থা যাদের গত তিনবছরে লোকসানের বহর বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। যে সংস্থার ডিরেক্টরদের থাকার ঠিকানা তিলজলা এবং খিদিরপুরের বস্তি। যাদের একজন একটি বেসরকারি সংস্থার ছয়হাজার টাকা মাইনের নিরাপত্তা কর্মী অন্যজন বেকার। খালি ত্রিনেত্র নয় , প্রায় ৬০টি কোম্পানির ডিরেক্টর এরা। অথচ  নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া ঘোষণাপত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকের দাবি এই সংস্থাই দলের নির্বাচন তহবিলে ১কোটি ৪০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই  রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজ এবং আয়কর দফতরের সঙ্গে তদন্তে নামে ইডি। সেই তদন্তেই জানা যায় ২০১৪ সালের এপ্রিলে ত্রিনেত্রের অ্যাকাউন্ট থেকে  পরপর দু দফায় সাড়ে তিনকোটি টাকা জমা পড়ে তৃণমূলের তহবিলে। ইডির তদন্তে মিলেছে আরও কিছু তথ্য।

২০১৪ সালে পাঁচ কোটি টাকা ঋণ হিসাবে জমা পড়েছে শাসকদলের তহবিলে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর তদন্তকারিদের সন্দেহ ওই টাকাও এসেছে ত্রিনেত্রের অ্যাকাউন্ট থেকে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ডালহৌসি শাখার পাঁচটি অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যে অ্যাকাউন্টগুলি থেকে এই টাকা লেনদেন হয়েছে। এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই নড়চড়ে বসেছে ইডির দিল্লির সদর দফতর। শুরু হয়েছে মামলা করার প্রস্তুতি।  ত্রিনেত্র তদন্তের সূত্র ধরেই রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলে ভুতুড়ে কোম্পানির হাত ঘুরে কীভাবে কোটি কোটি কালো টাকা পৌছচ্ছে তার হদিস মিলবে, এমনটাই অনুমান গোয়েন্দাদের।  

.