পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার, তবে আশঙ্কার মেঘ কাটেনি এখনও
মুখ্যমন্ত্রী সময় চেয়েছেন। আর সেই সময় দিতে রাজি হল বাস মালিকদের সংগঠন। আর তাই বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। লক্ষ্মীপুজো অবধি বাস ধর্মঘট স্থগিত করা হল। তবে মেঘ পুরো কাটল না। লক্ষীপুজো পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিণ্ডিকেট। মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এমন কথাই জানানো হল। ভাড়া বাড়ানোর কোনওরকম আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী দেননি বলে জানা গিয়েছে।
কাল থেকে বাস ধর্মঘট হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট। তবে ট্যাক্সি মালিকদের সঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রীর আলোচনায় কোনও রফাসূত্র বেরোয়নি। আগামিকাল সমস্ত পরিবহণ সংগঠনের সঙ্গে যৌথ বৈঠকের পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্যাক্সি মালিকরা। ফলে, বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের পরেও কাটল না পুজোয় পরিবহণ সঙ্কটের আশঙ্কা।
জ্বালানির দাম বাড়ায় বেড়েছে খরচ। কিন্তু, ভাড়া না বাড়ায় প্রতিদিন বাসপ্রতি সতেরোশো টাকা ক্ষতি হচ্ছে। তাই বাসভাড়া ন্যূনতম সাতটাকা করার দাবি উঠেছে। এই দাবিতেই সোমবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সদস্যরা। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী আধুনিক মানের বাস ব্যবহারের পরামর্শ দেন বলে জানিয়েছেন বাস মালিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি, এই ধরনের বাসে জ্বালানি কম লাগে। যদিও, বাস মালিকরা জানিয়েছেন, আধুনিক মানের বাস কেনার আর্থিক সঙ্গতি তাঁদের নেই। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে লক্ষ্ণীপুজো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি হলেও, ভাড়া বাড়ানোর দাবি থেকে সরে আসেননি বাস মালিকরা।
ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় ট্যাক্সি মালিকরাও। সোমবার পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। ভাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সরকারের অনমনীয় মনোভাব নিয়ে ক্ষোভে ফেটেও পড়েন ট্যাক্সি সংগঠনের সদস্যরা।
ট্যাক্সি চালকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার অন্যান্য পরিবহণ সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। কলকাতা ও শহরতলিতে প্রতিদিন প্রায় তেত্রিশ হাজার ট্যাক্সি চলে। ট্যাক্সি ধর্মঘট শুরু হলে, পুজোয় পরিবহণে বড়সড় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। লাক্সারি ট্যাক্সি এবং পণ্য পরিবণের সঙ্গে জড়িত পরিবহণ মালিকরাও মঙ্গলবার তাঁদের অবস্থান নিয়ে বৈঠক করবেন।