আজ বাঘ দিবস
ওয়েব ডেস্ক: সুন্দরী, গরান আর ম্যানগ্রোভ দিয়ে ঘেরা এক মায়াভূমি।
ওয়েব ডেস্ক: সুন্দরী, গরান আর ম্যানগ্রোভ দিয়ে ঘেরা এক মায়াভূমি। লম্বা ঘাসের বন। সাগরের নোনা জলে ভেজা নরম মাটি। এসবের মাঝে কেমন আছে বড়ে মিঞাঁ? বিশ্ব বাঘ দিবসের আলোয় ফিরে দেখা ঘরের পাশে সুন্দরবনকে।
--------------
বঙ্গোপসাগরের বুকে ম্যানগ্রোভ অরণ্যে মোড়া ভূমি।
---
এখানে এলেই তার দেখা মেলে।
---
তাকে ঘিরে নানা জনশ্রুতি।
---
আছে ভয়। আছে উত্সাহ।
---
এই হল বনের রাজার রাজধানী।
---
সুন্দরবন। রয়্যাল বেঙ্গলের রেসিডেন্স।
---
কিন্তু এখানেই ফিকে হয়ে আসছিল, দক্ষিণ রায়ের বিক্রম। সুন্দরবনের ভিতরে বড়ে মিঞাঁর পরিবারে সদস্য সংখ্যা কত, তা নিয়ে বিতর্ক অনেক দিনের। যা উসকে দিয়ে ২০১০-১১ সালের বাঘ সুমারি রিপোর্ট জানায়, বড়জোর ৭৫ থেকে ৯০টি বাঘ অবশিষ্ট রয়েছে বাদাবনে। এরপরই বনদফতর ও ডব্লু ডব্লুএফ এর যৌথ উদ্যোগে ক্যামেরা বসে বনের রাজার বেডরুমে। লেন্সের নজরে আসে সুন্দরবনের কোর এরিয়া।
-----
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ক্যামেরাবন্দি হয় ২১টি বাঘ।
সজনেখালিতে ক্যামেরাবন্দি হয় ১৭টি বাঘ।
বসিরহাটে ক্যামেরাবন্দি হয় ১৩টি বাঘ
ন্যাশনাল পার্ক পূর্বে ২৭টি
ন্যাশনাল পার্ক পশ্চিমে ২৩টি বাঘের ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
সব মিলিয়ে সুন্দরবনে শতাধিক বাঘের ক্যামেরাবন্দি হওয়ার ঘটনা আশ্বস্ত করে পরিবেশপ্রেমীদের।
চরিত্রগত ভাবে সুন্দরবন দেশের অন্য ব্যাঘ্রপ্রকল্পগুলির চেয়ে পুরো আলাদা। তাই স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং হোক বা ডিএনএ পরীক্ষা অথবা পায়ের ছাপ, কোনও পদ্ধতিই সুন্দরবনের বাঘের নির্ভুল সংখ্যা দিতে পারে না। তাই সঠিক তথ্য জোগাড় করাটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল।
তবে আশার পাশাপাশি উদ্বেগও আছে। রয়্যাল বেঙ্গল আর সুন্দরবন একে অন্যের পরিপূরক।