ভোটের আগে তরুণ মন জয়ে TMC-র নয়া কর্মসূচি,পথে Dev-Mimi-Nusrat

আগামী ভোটে তরুণ প্রজন্মের ভোট ফ্যাক্টর হতে চলেছে।

Updated By: Dec 25, 2020, 07:42 PM IST
ভোটের আগে তরুণ মন জয়ে TMC-র নয়া কর্মসূচি,পথে Dev-Mimi-Nusrat

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের আগে তরুণ প্রজন্মের মন জয়ে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। যুবক-যুবতীদের জন্য রাজ্য সরকার কী কী করেছে, তার ফিরিস্ত প্রচার করবেন তৃণমূলের তারকা নেতানেত্রীরা। নাম দেওয়া হয়েছে- 'যুবক-যুবতীদের পাশে দিদি'। দেব (Dev), মিমি (Mimi), নুসরতের (Nusrat) মতো তারকা মুখ থাকছেন এই কর্মসূচিতে। 

ভোটের আগে কর্মসংস্থান, শিল্প ও রাজ্যের আর্থিক উন্নয়ন নিয়ে শাসক দলকে নিশানা করছে বিরোধীরা। গত ১০ বছরে বাংলায় কোনও শিল্পসংস্থা আসেনি বলে অভিযোগ তাদের। বিরোধী শিবিরের এই আক্রমণ ভোঁতা করতে যুব সমাজের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরতে চলেছে তৃণমূল (TMC)। জেলায় জেলায় চলবে প্রচার। তৃণমূল সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে 'যুবক-যুবতীদের পাশে দিদি' কর্মসূচি। দেখা যাবে দেব, মিমি, নুসরত, লক্ষ্মীরতন শুক্লা ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তারকা মুখকে। প্রত্যেক তারকাকে সপ্তাহে অন্তত দু'দিন করে এর জন্য সময় দিতে বলা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। সোনারপুরের শিমুলতলায় বড়দিনের অনুষ্ঠানে এ দিন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি বলেন,'বাংলার যুবক যুবতীদের জন্য এই কর্মসূচি। রাজনীতিতে আসতে আগ্রহী হবেন তাঁরা।' তবে এতে কোনও লাভ হবে না বলে দাবি দিলীপ ঘোষের। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়,'যুবক-যুবতীরা তো বটেই দিদির পাশে তো ভাইরা-ও নেই। একের পর এক কর্মসূচি আসছে। কিন্তু রাস্তায় তো কেউ নামছেন না।'           

 
কেন তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট? 

২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ২০  থেকে ২৪ বছর বয়সের ভোটার রয়েছেন  ৯.৬%। ২৫ থেকে ২৯  বছর বয়সের ভোটার রয়েছে  ৮.৭৬%। আর ৩০ থেকে ৩৪ বছর ভোটারের সংখ্যাটা  ৭.৫%। অর্থাৎ মোট ভোটারের প্রায় ২৭ শতাংশই হল ২০ থেকে ৩৪ বছরের ভোটার। স্বাভাবিকভাবে আগামী ভোটে তরুণ প্রজন্মের ভোট ফ্যাক্টর হতে চলেছে। তা বুঝেই কর্মসংস্থানকে ইতিমধ্যেই ভোটের ইস্যু করে তুলেছে বিজেপি। পরিসংখ্যান দিয়ে বাংলায় শিল্প-খরার অভিযোগ করে চলেছে তারা। সেই ধারা ধরেই বোলপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অভিযোগ করেছেন, জিডিপি বৃদ্ধির হারে ৩২ রাজ্যের মধ্যে বাংলা ১৬ নম্বরে। শিল্পের উন্নয়নে ২০তম স্থানে। দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির মাত্র ১% হয়েছে বাংলায়। ঘটনা হল, বাংলার ছেলেমেয়েরা কাজ খুঁজছে বাইরের রাজ্যে যাচ্ছে বলে বাম জমানা থেকে অভিযোগ করে আসছে বিরোধীরা। সেটাই তথ্য দিয়ে তুলে ধরছে গেরুয়া শিবির। তার পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রতিক একাধিক ঘোষণা করেছেন- সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি, উইপ্রোকে অনুমোদন থেকে সিলিকন ভ্যালি। মুখ্যমন্ত্রী এও দাবি করেছেন, গোটা দেশে বেকারত্ব ২৪ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। বাংলা কমেছে ৪০ শতাংশ। তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে বাম-কংগ্রেসও। একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, একুশের ভোটের অভিমুখ হতে চলেছে কর্মসংস্থান। 

আরও পড়ুন- রাজ্যে উইপ্রো, ২০টি আইটি, স্টার সিমেন্টের ইউনিট, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

.