পঞ্চায়েত ভোটের আগে নয়া কৌশল, রবিবার থেকে তৃণমূলের চাটাই বৈঠক নন্দীগ্রামে
তৃণমূল কংগ্রেস সাড়া রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে পুর্ব মেদিনীপুর এবং বিশেষত নন্দীগ্রাম বিধানসভা অঞ্চলে। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা অঞ্চলে অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা অঞ্চলে তাঁকে পরাজিত করতে চাইছে তৃণমূল।
প্রবীর চক্রবর্তী: পঞ্চায়েত ভোটের আগে নয়া কৌশল তৃণমূলের। রবিবার থেকে নন্দীগ্রামে শুরু হচ্ছে ‘চাটাই বৈঠক’। জানা গিয়েছে দুটি ব্লকে আজ বৈঠক করবে শাসক দল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করবেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। জানানো হয়েছে কলকাতা থেকেও যাবেন শীর্ষ নেতারা।
নন্দীগ্রাম এক এবং দুই এই দুই ব্লকে যাওয়ার কথা রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের। জানানো হয়েছে এই কর্মসূচী চলবে বেশ কিছুদিন ধরে। প্রতিটি মানুষের বাড়ি গিয়ে তাদের কথা শোনা এবং সমস্যার সমাধান করা হবে এর প্রধান লক্ষ্য। পাশাপাশি এর মাধ্যমে জনসংযোগকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।
তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা অঞ্চলে অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা অঞ্চলে তাঁকে পরাজিত করতে চাইছে তৃণমূল।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘এটা আলাদা করে কৌশলের বিষয় নয়। সাড়া বাংলা জুড়ে সারা বছর তৃণমূল কর্মীরা মানুষের সঙ্গে থাকেন। কিছু কিছু সময় বিশেষ পদক্ষেপ হয়। যেমন গ্রামে চলো করছেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রামেও রাজ্য যে প্রোগ্রাম দেবে, জেলা যে প্রোগ্রাম দেবে সেগুলির পাশাপাশি এক নম্বর এবং দুই নম্বর ব্লকে গ্রামবাসীদের মধ্যে চাটাই পেতে তাদের সঙ্গে বৈঠক। সেখানে কেন্দ্রের নীতি কেন খারাপ, কীভাবে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে এবং কীভাবে জিনিসের দাম বাড়ছে তা বোঝানো হবে’।
আরও পড়ুন: Hawker Issue: হকার ইস্যুতে পুরসভা বনাম কলকাতা পুলিস! অসন্তুষ্ট লালবাজার
তিনি আরও বলেন, ‘এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোজনাগুলি কীভাবে মানুষের পরিবারের পাশে দাড়াচ্ছে, উপকার হচ্ছে এবং প্রতি পরিবারের রোজগার কীভাবে বাড়াচ্ছে তা বোঝানো হবে’।
তৃণমূল কংগ্রেস সাড়া রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে পুর্ব মেদিনীপুর এবং বিশেষত নন্দীগ্রাম বিধানসভা অঞ্চলে।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘ভালো কথা। রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্য চাটাইয়ে বসবে। বাড়ি বাড়ি গিয় বৈঠক করবেন। নন্দীগ্রামের পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। যত নির্বাচন এগিয়ে আসবে, এখন চাটাইয়ের মধ্যে রয়েছেন, এরপরে মশারির মধ্যে ঢুকবে। তারপরে ঘরবন্দি হয়ে যাবে’।