ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে ফের বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়ির সামনে বিধায়কের গাডি। প্রতিবাদ করেছিলেন ফুলবাগানের সিআইটি রোডের ব্যবসায়ী মিলন দের বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী। প্রতিবাদের মাসুল গুনেছেন হাড়েহাড়ে। বিধায়ক পরেশ পালের বিরুদ্ধেই হুমকি, মারধরের অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ী। থানায় গিয়ে হতাশ হতে হয় ব্যবসায়ীকে। অভিযোগপত্রে কনটেন্ট নট ভেরিফায়েড ছাপ দিয়ে দায় সারে পুলিস।
ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে ফের বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। থানায় অভিযোগ জানালেও ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত হাত গুটিয়ে থাকল পুলিস। অভিযোগ পত্রে স্রেফ একটি স্ট্যাম্প মেরেই পুলিস রক্ষকের ভূমিকা পালন করল। পুলিসের কাছেও সহযোগিতা না মেলায় ভয়ে সিঁটিয়ে ব্যবসায়ীর পরিবার।
প্রশ্ন ১- পুলিস অভিযোগ GD না FIR আকারে নিল, কেন তা স্পষ্ট করা হল না ?
ভারতীয় ফৌজদারি বিধি অনুযায়ী কেউ কোনও অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে তা নিতে বাধ্য পুলিস। GD অথবা FIR আকারে অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে। GD নেওয়া হলে ফোটোকপি অভিযোগকারীকে দিতে হবে। ফোটোকপিতে GD নম্বর লেখা থাকবে। ব্যবসায়ীকে ফেরত দেওয়া অভিযোগ পত্রে কোনও কিছুর উল্লেখ নেই। অভিযোগপত্রে নেই কোনও নম্বর । কনটেন্ট নট ভেরিফায়েড এই ধরণের কোনও শব্দ অভিযোগ পত্রে লেখাই যায় না। ব্যবসায়ীর দাবি, থানায় ব্যবসায়ীকে জানানো হয়, এটি ননকগনিজেবল অফেন্স বা ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ নয়। তাই তদন্ত করে পরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডেঙ্গিতে মৃত্যু' কলকাতার স্কুলছাত্রের
CRPC এর ১৫৫ ধারা অনুযায়ী, ননকগনিজেবল অফেন্স মনে হলে অভিযোগ পাঠাতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তের নির্দেশ দেবেন ম্যাজিস্ট্রেট । এক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মতি ছাড়াই পুলিস কীকরে নিজেই তদন্তের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিল?
ফুলবাগান থানায় পাল্টা অভিযোগ করেন পরেশ পাল। উল্টে তার চালককেই মারধরের অভিযোগ এনেছেন বিধায়ক। প্রশ্ন উঠছে, বিধায়ক হওয়ার কারণেই কী পুলিসের এই নিষ্ক্রিয়তা?